সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ, করোনা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ০১, ২০২০
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
০১:০০ পূর্বাহ্ন



সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ, করোনা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও নগরে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের জিন্দাবাজারে দশ থেকে পনেরো জন শ্রমিককে সড়ক সংস্কার কাজ করতে দেখা যায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

দিন কয়েক আগে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম চিঠি দেন মেয়রকে। শুক্রবার থেকে নগরের সকল কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয় সেই চিঠিতে। জেলা প্রশাসকের অনুরোধের পর রবিবার পর্যন্ত নগরের উন্নয়নমূলক কোনো কাজ চলমান দেখা যায়নি। তবে গতকাল

সোমবার (৩০মার্চ) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনের ড্রেন সংস্কার করতে দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার সিলেট সরকারি কিন্ডার গার্টেনের সামনের ড্রেন এবং জিন্দাবাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গলির সামনের রাস্তার সংস্কার কাজ চলছিল।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সেই উপেক্ষা করেও তবু চলমান রয়েছে উন্নয়নমূলক কাজ।   ছবি: সিলেট মিরর।

 

নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা পারভেজ মাহমুদ নামে একজন বলেন, ‘এলাকার প্রধান সড়কের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পাথর ও বালুর স্তুপ গেড়েছে। রাস্তার অবস্থাও খুবই নাজেহাল। এই অবস্থায়ও তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় সিটি করপোরেশন ঝুঁকি নিয়েও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে- এটা দুঃখজনক। 

সংস্কার কাজ অব্যাহত রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। জরুরিভাবে কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আজ ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন জরুরি প্রয়োজনে কাজ করা যেতে পারে। আর আমাদের বেশিরভাগ কাজই বন্ধ রয়েছে। তবে জিন্দাবাজার এলাকার কাজটি জরুরিভিত্তিতে শেষ করা প্রয়োজন। তাই এই পরিস্থিতিতেও সংস্কার কাজ করতে হয়েছে।’

শ্রমিকদের জন্য এই মুহূর্তে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। কাজ চলমান রয়েছে জানালে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

সিলেট মিররকে তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এই মুহূর্তে শ্রমিকদের জন্য কাজ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে শ্রমিকরা যদি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে পারে তাহলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। তবে আমি মনে করি কাজ বন্ধ রাখাই উচিৎ। কারণ, কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা মেয়রও দিয়েছিলেন।’

আরসি-০৮/এনপি