উত্তর কাজীটুলায় পানির জন্য হাহাকার

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০১, ২০২০
১১:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
১১:১১ অপরাহ্ন



উত্তর কাজীটুলায় পানির জন্য হাহাকার

তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন সিলেট নগরের উত্তর কাজীটুলা এলাকার বাসিন্দারা। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতায় যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক এমন মুহূর্তে হাত ধোয়ারও পানি পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে পানি বঞ্চিত এলাকাটিতে গত এক সপ্তাহে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর কাজীটুলা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ।  

তিনি জানান, উত্তর কাজীটুলা এলাকায় প্রায় দুইশ পরিবারের বসবাস। তারা নিয়মিত পানির বিল সরবরাহ করে আসছেন। মাসের পর মাস পানির বিল পরিশোধের পরও তারা পানি পাচ্ছেন না। শাহী ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন পানির পাম্প থেকে এই এলাকায় পানির সরবরাহ করা হয়। ওই পাম্প থেকে আশেপাশের অন্যান্য এলাকাতেও পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এজন্য পাম্পের ওপর বেশি চাপ পড়ে। নিয়মিতই পানির মোটর নষ্ট থাকে। এখানে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পানিও উত্তোলন কমে গেছে। পাম্পটির অবস্থান উত্তর কাজীটুলা এলাকার ভূমি থেকে বেশ নিচুতে। এসব কারণে উত্তর কাজীটুলার এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত পানি পান না। তবে এসবের পরেও মেয়র থেকে কাউন্সিলর কেউই এলাকাবাসীর পানির সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারেননি। আর এতেই এলাকার মানুষ পানি না পেয়ে ক্রমশ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠছেন। কয়েকদিন আগে এলাকার নারীরা পানি না পেয়ে শাহী ঈদগাহের পানির পাম্পে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। তখন কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপাতত নিস্পত্তি হয়। 

এক সপ্তাহ আগে পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী পানির জন্য হাহাকার করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জামিল আহমদ, এহিয়া আহমদসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যায় জর্জরিত। বিল দেয়ার পরও আমরা ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। বারবার পানির পাম্পের মোটর নষ্ট হয়ে যায়। পানির লেয়ার নিচে নেমে যায়। করোনার মতো দুর্যোগেও আমরা প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. রাশেদ আহমদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানা বেগম জানান এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে এখনই আমি সিটি করোপরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

এনএইচ-০২/বিএ-০৬