জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৩, ২০২০
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২০
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গতকাল বুধবার (১ এপ্রিল) উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শাহ গালিব (র.) মাজারটি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবারও (২ এপ্রিল) ওই মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজার এলাকার নিকটবর্তী রমাপতিপুর ও মুজাহিদপুর গ্রামের দক্ষিণ টিলায় অবস্থিত শাহ গালিব (র.) মাজার। স্থানীয় বিএনপি নেতা ইয়াওর মিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে এই মাজার ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় মাজারের নামাজের স্থান ভেঙে ফেলা হয়। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাজারের খাদেম ও মোতাওয়াল্লি শাহ মো. আছলাম উদ্দিন।
মাজারের খাদেম শাহ আছলাম উদ্দিন বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে মাজারের খাদেম ও মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাজারটি ওয়াকফ করা। এ জন্য নিয়মিত বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের খাজনা আদায় করে আসছি। মাজারের ভূমি আত্মসাতের লক্ষ্যে ইয়াওর মিয়া ও ইউপি মেম্বার শাহান মিয়ার লোকজন মাজার দখল করতে এখানে ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইয়াওর মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে মাজারের প্রকৃত মোতাওয়াল্লি দাবি করে বলেন, মাজার সংস্কারের জন্য কাজ করছি।
পুলিশ নিষেধ করার পরও মাজারে ভাঙচুর করছেন কেন জানতে চাইলে ইউপি সদস্য শাহান আহমদ বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হচ্ছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। ইয়াওর মিয়াও মাজারের খাদেম। তিনি মাদরাসা নির্মাণের জন্য মাজারের কাজ করছিলেন বলে আমি শুনেছি। ভাঙচুরের কোনো খবর পাইনি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কেউ মাজার ভাঙতে পারবে না। পুলিশ বিষয়টি তাদেরকে জানিয়েছে। আদেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।