সিলেট নগরে কমেছে মানুষের চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ০৩, ২০২০
১০:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২০
১১:০৭ অপরাহ্ন



সিলেট নগরে কমেছে মানুষের চলাচল

সিলেট নগরে মানুষের চলাচল কমেছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এবং ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে গত বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী তৎপরতা বাড়ানোর পর আজ শুক্রবার সিলেটে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। তবে জুম’আর নামাজের সময় অনেকে নামাজ পড়তে বের হন।

আজ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। করোনায় বারণ সত্ত্বেও নগরের আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার এলাকায় যেখানে গতকাল বৃহস্পতিবারও মানুষের সমাগমে রীতিমতো যানজট লেগেছিল সেখানে আজ অনেকটাই নিশ্চুপ নগর।

করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর থেকে নগরে আস্তে আস্তে কমতে থাকে মানুষের উপস্থিতি। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতেন না। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করে আবারও নগরে জনসমাগম বাড়তে থাকে। পুরো দেশে একই রকম অবস্থা হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে কিছুটা কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী তৎপরতা বাড়ায়। এছাড়া মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে র‌্যাব-৯ মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে প্রচারণা চালায়। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান র‌্যাব সদস্যরা। এসময় সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করেন তারা।

পুলিশও তৎপরতা বাড়ায়। পাশাপাশি সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইক যোগে নগরে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সবের ফলে আজ নগরে পরিস্থিতির পরিবর্তন আসে। 

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, রিকশা ও মোটরসাইকেলে একজনের বেশি যাত্রীকে যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে সর্বোচ্চ দুজন যাত্রী চলাচল করতে দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা। সেনাবাহিনী ছাড়াও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। বিভিন্ন এলাকায় চায়ের টঙ দোকান খোলা দেখলে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এ সময়। এছাড়া অপ্রয়োজনে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলেও তাদের বাসায় পাঠিয়েছে প্রশাসন।

মানুষের এই ঘরবন্দী জীবনে থাকাটাকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘আমরা মানুষকে সবসময় ঝুঁকির মধ্যে বাইরে না আসার আহ্বান জানিয়েছি। সবাই যদি এভাবে ঘরে থাকেন সেটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।’ সামনের দিনগুলোতেও কেউ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হবেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এভাবে সবাই সচেতন হলেই কেবল আমরা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারি।’

 

আরসি-৫/এএফ-০৮