চিরনিদ্রায় শায়িত সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম

বড়লেখা প্রতিনিধি


এপ্রিল ১০, ২০২০
১০:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২০
১০:০৫ অপরাহ্ন



চিরনিদ্রায় শায়িত সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম

মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র সময় দুপুর ১২টায় জানাজা শেষে স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে গত ৪ মার্চ আমেরিকার এল্মহার্স্ট হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ৪ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দেশে থাকা সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে আনিসুল ইসলাম আজ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বাবার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রেই তাঁকে দাফন করা হয়েছে। 

মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৩ সালে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম সারির একজন সংগঠকের ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

পরে ১৯৭২ সালে মৌলভীবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মৌলভীবাজার-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান। এরপর থেকে তিনি রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি গত ডিসেম্বর মাসে বড়লেখায় এসেছিলেন। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।