৩০ কেজি চালের প্রতি বস্তায় ৩ কেজি উধাও!

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


এপ্রিল ১০, ২০২০
১০:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২০
১০:২৫ অপরাহ্ন



৩০ কেজি চালের প্রতি বস্তায় ৩ কেজি উধাও!

ওজনে দেখা যায় চালের পরিমাণ কম। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম সুমন (ডানে)।

প্রতি বস্তায় চাল থাকার কথা ৩০ কেজি। সেখানে বস্তাপ্রতি ৩ কেজি করে চাল উধাও। এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) আওতায় একেকজন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু জনপ্রতি ৩-৪ কেজি করে চাল কম দিয়েছেন উপজেলার মধুর দোকান এলাকার ডিলার জহিরুল ইসলাম সুমন।

উপকারভোগীদের কয়েকজন চাল কিনে অন্য দোকানে নিয়ে মেপে দেখেন পরিমাণে কম রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিষয়টি টের পেয়ে ওই ডিলার দোকান বন্ধ করে চলে যান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেন। পরে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে ওসি (এলএসডি) চন্দ্রসেন রায় গিয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর চাল মেপে কারও বস্তায় ২৬ কেজি, আবার কারও বস্তায় ২৭ কেজি চাল রয়েছে বলে প্রমাণ পান।

বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুন নূর, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক শাকির আহমদ খানসহ রাজনগর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা ডিলারকে খবর দিয়ে এনে দোকান খুলে বাকি চালের বস্তাগুলো মেপে দেখেন সেগুলোতে কম রয়েছে। এ সময় যেসব বস্তায় কম রয়েছে, সেসব বস্তায় ৩০ কেজি পূর্ণ করে উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করতে ওই ডিলারকে নির্দেশ দেয়া হয়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুন নূর বলেন, ওজনে চাল কম দেয়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায় বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এই কার্যক্রম যাতে বন্ধ না থাকে, সেজন্য ওই ডিলারকে আপাতত পুরো ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করতে বলেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে রিপোর্ট দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে।