বন্দরের কর্মহীন শ্রমিকদের সাহায্যও অপ্রতুল

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৮:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৮:৩১ অপরাহ্ন



বন্দরের কর্মহীন শ্রমিকদের সাহায্যও অপ্রতুল

করোনাভাইরাসের কারণে মোংলা বন্দরে জাহাজের যাওয়া-আসা কমে গেছে। যে কারণে জাহাজ ও জেটিতে পণ্য ওঠানামার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ভিত্তিতে কাজ করা কর্মীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের সহায়তা দেয়নি বলে অভিযোগ। কিছু সংস্থা থেকে সামান্য সহায়তা মিললেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন তারা।

বন্দরের হারবার ও ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের আগে এখানে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ভিত্তিতে জাহাজ ও জেটিতে পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫/১৬টি জাহাজের পরিবর্তে থাকছে ১০/১১টি জাহাজ মাত্র। সেই সঙ্গে জেটির অভ্যন্তরের অনেক কাজও কমে গেছে। 

মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টু জানান, বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ এর অধীনে কাজ করা শ্রমিকের সংখ্যাও অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি অনেক সাহায্য পেলেও তা অপ্রতুল। আর প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় অনেকে বিকল্প কাজও করতে পারছেন না।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও শিপিং এজেন্ট এইচ এম দুলাল করোনা প্রভাবের কারণে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজ কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ অবস্থায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও কাজ কমে গেছে। সবাই লোকসানের সম্মুখীন। আশা করছি বন্দর ব্যবহারকারী অন্যান্য স্টিভিডোরস ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সংকটকালীন এ সময়ে কর্মহীন শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি আর বেশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শ্রমিকদের মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ নয়, তারা স্টিভিডোরসদের (খালাসি ঠিকাদার) অধীনে কাজ করেন। ঠিকাদারই তাদের দেখভাল করে থাকেন। কাজকালীন সময়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রাথমিক উপকরণ দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা দুর্যোগে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।’

 

আরসি/০২