সুনামগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ ৪ জন কোয়ারেন্টিনে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৮:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৮:২৭ অপরাহ্ন



সুনামগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ ৪ জন কোয়ারেন্টিনে
তাদের নমুনা সিলেটে পাঠানো হয়েছে ঳ নারায়ণগঞ্জ ফেরত স্বামীর মাধ্যমেই স্ত্রীর সংক্রমণ

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বেরীগাও গ্রামের এক গর্ভবর্তী নারীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ফেরত স্বামীর মাধ্যমেই তার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে তথ্য গোপন করে ওই নারীর পরিবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় তার সংস্পর্শে আসা সুনামগঞ্জ সদর হাসপতাালের এক চিকিৎসকসহ ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল রবিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তার নমুনা পরীক্ষা শেষে আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) তিনি করোনা আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। তার আগে গতকাল রবিবার সকালে সিজারের মাধ্যমে তার সন্তানের জন্ম হয়েছে ওসমানী হাসপাতালে। ওসমানী হাসপাতালের আগে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন। এ কারণে তার সংস্পর্শে আসা এই হাসপাতালের একজন গাইনী চিকিৎসক ও ৩ জন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘ওই নারীর পজেটিভ ধরার পর আমরা তার সান্নিধ্যে আসা গাইনী চিকিৎসক ও তিনজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা যারা এই চিকিৎসক ও নার্সদের সান্নিধ্যে এসেছি তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হবে।’ তিনি বলেন, ওই নারীর পরিবার তথ্য গোপন করায় দুটি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ অনেক মানুষ এখন ঝুঁকিতে পড়েছেন।’

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাও গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম উদ্দিন ঢাকার নারায়ণগঞ্জে পেশায় নিরাপত্তারক্ষী কাজ করতেন। সেখান থেকে কিছুদিন আগে তিনি বাড়িতে ফিরেন। গত বুধবার তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী অসুস্থ হন। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সিলেটে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল পজেটিভ আসে।

উল্লেখ্য গত শনিবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে একজন প্রবাসীর স্ত্রী করোনারোগে শণাক্ত হওয়ার পর বিকেলে জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। একদিন পরেই সিলেটে আরেক নারীরর করোনা শণাক্ত হয়েছে।

 

এসএস-০১/এএফ-০৭