সংকট আর শঙ্কায় হাওরে ধান কাটা শুরু

তাহিরপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৫, ২০২০
১২:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২০
১২:২৩ পূর্বাহ্ন



সংকট আর শঙ্কায় হাওরে ধান কাটা শুরু
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশাবাদ

করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট আর আগাম বন্যার আশঙ্কা নিয়েই সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আহ্বানে জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাওরের কৃষকদের উৎসাহ যোগাতে একযোগে ধান কাটা শুরু হয়।

তাহিরপুর উপজেলা সদরের উজান তাহিরপুর গ্রামের সম্মুখে শনির হাওরপাড়ে নুরুল হকের বোরো জমিতে ধান কাটার শুভ উদ্বোধন করেন তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা ধীমান চন্দ, মনিরাজ শাহ, কৃষক নুরুল আবেদীন প্রমুখ।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকবছরের তুলনায় এ বছর হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনাভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও আগাম বন্যা না হলে সর্বোচ্চ একমাসের মধ্যেই হাওরের সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব।

কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মৌসুমে তাহিরপুর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫শ ২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৩শ হেক্টর। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে।

মাটিয়ান হাওরের কৃষক বড়দল গ্রামের মিলন মিয়া জানান, বিগত কয়েকবছরের তুলনায় এবার মাটিয়ান হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।

মিলন মিয়া আরও জানান, তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস এবার ধান রোপণ মৌসুমে তাকে বিনামূল্যে ধানের বীজ, এমওপি ও ডিএপি সার দিয়েছিল। এ সমস্ত বীজ ও সার তার যে জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছিল, সে জমিগুলোতে অন্যান্য জমির চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে।

শনির হাওর পাড়ের কৃষক রুহুল আমিন জানান, তিনি শনির হাওরে ১০ কিয়ার জমিতে (৩০ শতকে এক কিয়ার) ধান চাষ করেছেন। এবার তার জমিতে যে ধান হয়েছে, অতীতে কোনো সময়ে এর চেয়ে ভালো ধান হয়নি।

তাহিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা জানান, তিনি সম্প্রতি উপজেলার সবক'টি হাওরের ধানের জমি ঘুরে দেখেছেন। কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি খুবই আনন্দিত।

উপজেলা কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবার তাহিরপুর উপজেলায় বোরো ফসল উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।