এই যুদ্ধের কোনও ট্রেনিং নেই তবু আমরা লড়ে যাচ্ছি

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৫, ২০২০
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২০
১২:৩৬ পূর্বাহ্ন



এই যুদ্ধের কোনও ট্রেনিং নেই তবু আমরা লড়ে যাচ্ছি
বিদায়ের প্রাক্কালে আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে পুলিশের বিদায়ী আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিল। এবার ২০২০ সালে নতুন আরেক যুদ্ধে নেমেছে পুলিশ। এই যুদ্ধের কোনো ট্রেনিং না থাকলেও আমরা মাঠে আছি, লড়ে যাচ্ছি।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বিদায়ের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ প্রধান হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বলেন, দুই বছর দুই মাস ১৫ দিন পুলিশ প্রধান হিসেবে কাজ করেছি। এ ছাড়া ৩৫ বছরের কর্মজীবনে সর্বোত্তম সেবা দিতে চেষ্টা করেছি। আইজিপি হওয়ার পর নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতি এই তিনটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, আর যেটা মূল উদ্দেশ্য ছিল তা হল পুলিশের ইমেজকে ‘বিল্ডআপ’ করা।

তিনি বলেন, আইজিপি হওয়ার পর ৭০০ ওসির সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ কথা বলেছি এবং তাদের ‘মোটিভেট’ করেছি। পরে জনগণই জানিয়েছে যে, এই ওসি আগের ওসি নেই, অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। গত দুই বছরে সাড়ে ৩ হাজার এসআই এবং ১৩ হাজার কনস্টবল নিয়োগ করা হয়েছে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীও করেছেন।

তিনি বলেন, জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে আমরা কতটুকু স্বার্থক তা এখন সারা দেশের জনগণ বুঝতে পারবেন। জনবান্ধব পুলিশ, জনতার পুলিশ হিসেবে দুবছরে কতটুকু গড়ে তুলেছি তা আপনারাই। আগের ইমেজ আর বর্তমান ইমেজ ওসি সাইন বোর্ড লাগিয়ে লিখিয়েছেন ‘জনতার পুলিশ।’ ওসি জনতাকে বলছেন আমাকে ‘স্যার’ বলতে হবে না।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মানবিক দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্ব জনমনে স্পর্শ করেছে। থানা হচ্ছে পুলিশের সেবার কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাছে সেবা ও আইনগত সহায়তার জন্য থানায় আসা মানুষকে আন্তরিক, নির্মোহভাবে সহায়তা ও সেবার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। 

 

এএফ/১১