কোয়ারেন্টিন মানছেন না তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা

তাহিরপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৫, ২০২০
১০:৩৪ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২০
১০:৩৪ অপরাহ্ন



কোয়ারেন্টিন মানছেন না তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. তৈয়বুর রহমান গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে অবাধে চলাফেরা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানারকম মন্তব্য করছেন উপজেলার সচেতন মহল। 

প্রধান সহকারী তৈয়বুর রহমানের হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকার পেছনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএফপিও) ডা. মো. ইকবাল হোসেন জড়িত রয়েছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

নির্দেশনা রয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা বাড়িতে কিংবা কর্মস্থলে ফিরেছেন, তাদেরকে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে তৈয়বুর রহমানের অবাধে চলাফেরা করার বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 

কোয়ারেন্টিনে না থেকে অবাধে ঝুঁকি নিয়ে ঘোরাঘুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তৈয়বুর রহমান বলেন, পায়ে আঘাত পেয়ে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে চিকিৎসার জন্য আমার কর্মস্থল তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় যাই। মার্চের ৩ তারিখে কুর্মিটোলায় চিকিৎসা করিয়ে সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকি। এপ্রিলের ১২ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় আমার বাসায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে থেকে গত পরশু কর্মস্থল তাহিরপুরে আসি। আমি হোম কোয়ারেন্টিন মেনেই চলাফেরা করছি এবং বাইরে কেথাও বের হচ্ছি না। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র থেকে জানা যায়, তৈয়বুর রহমান হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে চাইলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন থাকে চাপ দিয়ে কাজে লাগাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তৈয়বুর কর্মস্থলে আসার পরই সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সে করোনায় আক্রান্ত কি না তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তৈয়বুরকে চাপ দিয়ে কাজে লাগানোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য। তাছাড়া বর্তমান এ দুঃসময়ে পুলিশ, সাংবাদিক আর ডাক্তাররাই জনগণের পাশে রয়েছেন।