জগন্নাথপুরে ভোগান্তিতে ব্যাংকের গ্রাহকরা

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৬, ২০২০
১২:২৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০২০
১২:২৪ পূর্বাহ্ন



জগন্নাথপুরে ভোগান্তিতে ব্যাংকের গ্রাহকরা
সেবা না পাওয়ায় ক্ষোভ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকিংয়ের সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক এই সময়ে গ্রাহকদের টাকা লেনদেনে হয়রানি করছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লেনদেন না করে তারা গ্রাহকদের নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এতে টাকা তুলতে না পেরে লোকজন বেকায়দায় পড়েছেন।

আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে জগন্নাথপুর বাজারে অবস্থিত উত্তরা ব্যাংকের শাখার সামনে গিয়ে দেখা যায়, গাদাগাদি করে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহকরা। 

ওই সারিতে থাকা শিপন শরীফ নামের একজন গ্রাহক জানান, এর আগে তিনদিন লাইনে দাঁড়িয়েও তিনি টাকা তুলতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একজন একজন করে গ্রাহকদের ব্যাংকে প্রবেশ করার অনুমতি দেন এবং নানা অজুহাতে একজন গ্রাহককে সেবা দিতে ৩০ মিনিটের মতো সময় নেন। এভাবে গুটিকয়েক গ্রাহক ছাড়া ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন না বাকি গ্রাহকরা। গ্রাহকদের হয়রানির এ বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। 

এছাড়াও উত্তরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর পরই ব্যাংকের সামনে সাঁটানো হয় নোটিশ। এতে লেখা হয়- বিদেশফেরতদের প্রবেশ নিষেধ। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে ব্যাংক পরিচালিত হলেও সেই প্রবাসীদের অবজ্ঞা করায় উত্তরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে।

এছাড়াও এক্সিম ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংকে গিয়ে গ্রাহকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। পাশাপাশি কৃষি ব্যাংক, রুপালি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকে দেখা গেছে দীর্ঘ সারি। আর বেসরকারি অন্য ব্যাংকগুলোর শাখা কোন দিন খোলা হয় তা গ্রাহকরা জানতে পারছেন না। ফলে গ্রাহকরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর শাখার উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

 

এএ/আরআর