দেশে করোনা শনাক্ত আরও ৩০৬, মৃত ৯

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৮:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৯:১৮ অপরাহ্ন



দেশে করোনা শনাক্ত আরও ৩০৬, মৃত ৯
সুস্থ হয়েছেন ৮ #আইসোলেশন থেকে মুক্ত ৩২

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে মারা গেছেন ৯ জন। ফলে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ালো। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪ জনে। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন।

আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দেশের করোনা পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। এসময় যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান খান। 

বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে নতুন করে ৩০৬ জন শনাক্ত হওয়ায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ফলে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ জন। ফলে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৬৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টা দেশে ২ হাজার ১১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট ২ হাজার ১৯০টি নমুনার পরীক্ষা হয়।  করোনা শনাক্ত হওয়া ২ হাজার ১৪৪ জন রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে আরও ৩ হাজার ৬৪১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ১৭৪ জনকে। সবমিলিয়ে তিন হাজার ৮১৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। আর এই সময়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পান ৪ হাজার ২৬ জন।

অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যে ৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬০ বছর ঊর্ধ্বো চার জন। ৫১-৬০ বছরের মধ্যে আছেন একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন দু’জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং আর একজনের বয়স জানান যায়নি। এদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার, দু’জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা শানাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের কোটায় শতকরা ২৭ ভাগ, ৩১-৪০ বছর বয়সী ২২ ভাগ, ৪১-৫০ বছর বয়সী আছেন ১৯ ভাগ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুরুষ শতকরা ৬২ ভাগ, বাকিরা নারী।

ডা. সেব্রিনা বলেন, পরপর দু’টি পরীক্ষায় সংক্রমণ নেই এমন চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ২ হাজার ১৪৪ জন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

বুলেটিনে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন,  জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা শহরে, যা শতকরা ৩২ ভাগ। এরপর আছে গাজীপুর। গাজীপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছে। এর আগে যারা শনাক্ত হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ। গত তিনদিন আমরা যেসব রোগীর কথা বলছি সেটা আমাদের পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, এখানে একদিনের তথ্য পেন্ডিং ছিল। ১৬ তারিখের আক্রান্তদের তথ্যের সঙ্গে কিছু আক্রান্তের তথ্য ছিল ১৫ তারিখের। সেটাকে আমরা নতুন তারিখ অনুযায়ী বিভাজন করেছি। নতুন বিভাজন করার পর আমরা এটাকে সংশোধন করেছি।

বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

এএফ/০৫