কমলগঞ্জের চা-বাগানে অবাধে চলছে মদের ব্যবসা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ২০, ২০২০
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জের চা-বাগানে অবাধে চলছে মদের ব্যবসা

চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চা-বাগানগুলোতে বৈধ দেশীয় মদের দোকান বন্ধ হওয়ায় জমজমাট হয়ে উঠেছে চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজার ব্যবসা। গত ২৫ মার্চ সরকারি নির্দেশে কমলগঞ্জের সকল চা-বাগানে দেশীয় মদের দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। পারমিটধারী মাদকসেবী থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল মাদকসেবী দেশীয় চোলাই মদ ও হাড়িয়া নির্ভর হওয়ায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা, মাধবপুর, শ্রীগোবিন্দপুর, ধলাই, শমশেরনগর, দেওড়াছড়া, কানিহাটিসহ সকল চা-বাগানে সরকারি নির্দেশে দেশীয় মদের দোকান অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বন্ধ হয়নি বাগানে বহিরাগতসহ পারমিটধারী মাদকসেবীদের পদচারণা। বিভিন্ন অজুহাতে তারা চা-বাগানগুলোতে আগের মতোই প্রবেশ করছেন। পারমিটধারী মাদকসেবীরা দেশীয় মদের দোকান বন্ধ পাওয়ায় ঝুঁকছেন হাতে তৈরি চোলাই মদসহ হাড়িয়া এবং গাঁজার প্রতি।

দেশীয় মদের দোকান বন্ধ হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে বেড়েছে চোলাই মদের ব্যবহার। বাগানে বসবাসরত সুযোগ সন্ধানীরা নিয়মিত তৈরি করছেন ঝুঁকিপূর্ণ চোলাই মদ ও পঁচা ভাতের হাড়িয়া। নিম্নমানের এসব মাদক সেবন করে পারমিটধারীদের কাউকে কাউকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন পারমিটধারী মাদকসেবী থেকে শুরু করে চা-শ্রমিক ও গ্রামের লোকজন। নিম্নমানের চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা মাদকসেবীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশীয় মদের দোকান বন্ধের পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে দেশীয় চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা তৈরী এবং বিক্রি। এ জন্য প্রশাসনসহ বাগান কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মত স্থানীয়দের।

 

এসডি।আরআর