ধানকাটা শ্রমিকদের থাকার জায়গা দিতে খোলা হচ্ছে হাওরাঞ্চলের স্কুল

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২১, ২০২০
০২:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২০
০২:০৩ পূর্বাহ্ন



ধানকাটা শ্রমিকদের থাকার জায়গা দিতে খোলা হচ্ছে হাওরাঞ্চলের স্কুল

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এরই মধ্যে হাওরাঞ্চলে ধান পাকতে শুরু করেছে। সেখানে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। সারাদেশ থেকে শ্রমিকদের ধান কাটতে হাওরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ধান কাটার শ্রমিকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হাওরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধান কাটা শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ধান কাটার শ্রমিকদের থাকার জায়গা দিতে সিলেট, কিশোরগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। ফেসবুকে দেওয়ার স্ট্যাটাসে এই নির্দেশনা দেন তিনি।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সচিব বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেট এবং কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার হাওড় অঞ্চলের জেলাসমুহে বোরো ধান কাটার সময় শুরু হয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যা পূবাভাস সতর্কীকরণ আগাম বন্যার আভাস দিয়েছে। হাওড় এলাকায় বছরে একবারমাত্র ফসল ফলে । এই ফসল আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। হাওড় এলাকার চাহিদা পূরণ করে এই উৎপাদিত ধান দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে থাকে। এবার করোনাভাইরাস প্রভাবের ফলে আন্তির্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমুহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেইদিক দিয়ে হাওড় অঞ্চলের ধান যথাসময়ে এবং দ্রæততার সাথে হারভেস্ট করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এইক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সন্মানিত সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ধান কাটার জন্য এলাকার বাহিরে থেকে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য হাওড় এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটে সন্মানিত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ তাদের এলাকার তাদের প্রাক্তন ছাত্র যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ এবং যারা লেখাপড়া না করে অলসভাবে সময় কাটায় তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে এই চরম বিপদের সময় কৃষকদের পাশে দাড়ানো জন্য কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনারা যদি আপনাদের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রকৃতভাবে অনুরোধ করেন এবং উদ্বুদ্ধ করেন তবে তারা আপনাদের অনুরোধ শুনবে। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের কথা কখনো অমান্য করিনা। আমি আজ হাওড় অঞ্চলের সকল ডিপিওদেরকে আমার পক্ষে এই বার্তাটি সকল হাওড় অঞ্চলের সন্মানিত শিক্ষকস¤প্রদায়কে পৌছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আশা করি তাঁরা আমার এই আবেদন সকলের কাছে পৌছে দিবেন। আসুন সকলে মিলে এই সংকট কালে মানুষের পাশে দাঁড়াই। 

এএন/বিএ-২৪