নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২১, ২০২০
০২:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২০
০২:৪০ পূর্বাহ্ন



নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল

 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত পেশাজীবী, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে পারবেন।  কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার (২০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে বলেছে, এই তহবিল থেকে ঋণ নিলে সুদ হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ তাদের আয় উৎসারী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিমগঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ বছর মেয়াদী এই তহবিল গঠন করেছে। ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে তা সাড়ে ৩ শতাংশ মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি (এমআরএ) অনুমোদিত ক্ষুদ্র ঋণদানকারী এনজিওগুলোকে ঋণ দেবে। আর গ্রাহক পর্যায়ে এনজিওগুলো ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ আদায় করতে করতে পারবে এনজিওগুলো। এই সুদহার ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে হিসাবায়ন করতে হবে। সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে এই তহবিলের ঋণ নিতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে আগে খেলাপি হলে কেউঋণ নিতে পারবেন না।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের পেশাজীবি ও কৃষকরা একক নামে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা একক নামে ১০ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক প্রকল্পের নামে ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। এই তহবিলের ঋণের তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট। এখন পর্যন্ত করোনার প্রকোপ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্তত ৬ ধরনের ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে নিম্ম আয়ের মানুষের তহবিলের সুদহার সবচেয়ে বেশি ৯ শতাংশ। কৃষকদের জন্য গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের সুদহার ৪ শতাংশ। বড় শিল্প ও সেবাখাতের প্রতিষ্ঠানের ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের সুদহার সাড়ে ৪ শতাংশ। সমপরিমান সুদ ভর্তকী দেবে সরকার। কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পের ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের সুদহার ৪ শতাংশ। এর বাইরে ৫ শতাংশ সুদ ভর্তৃকী দেবে সরকার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার সাড়ে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বাড়িয়ে সুদহার করা হয়েছে ২ শতাংশ। আর রপ্তানিকারকাদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রিশিপমেন্ট তহবিলের সুদহার হার ৬ শতাংশ। আর শ্রমিকদের বেতন দিতে রপ্তানমুখী শিল্প মালিকদের জন্য গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার সুদবিহীন তহবিলের এককালীন সার্ভিস চার্জ ২ শতাংশ।

এএন/বিএ-২৫