দোয়ারাবাজারে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার


এপ্রিল ২১, ২০২০
১১:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২০
১১:০৫ অপরাহ্ন



দোয়ারাবাজারে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে করোনা ঝুঁকির মধ্যেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পরিবার পরিকল্পনাকর্মীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঘরবন্দি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে নিরলস চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা। পাশাপাশি তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহামারী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে গ্রামের মানুষকে বৈশ্বিকক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিপত্রের আলোকে সারাদেশের ন্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিয়মিতভাবে মাঠে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এই বিভাগের মাঠকর্মীরা স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের সুরক্ষা না পেয়ে ঝুঁকির মধ্যেই প্রতিনিয়ত গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাহেবেরগাঁও গ্রামে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা স্যাটেলাইট ক্লিনিক ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, কৈশোরকালীন সেবা, গর্ভবতী মায়ের সেবা, শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, এমনকি গর্ভবতী নারীদের পরিবারকে কাউন্সিলিং করে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।

উপজেলার সাহেবেরগাঁও গ্রামের সেবাগ্রহীতা মজিদা বেগম বলেন, আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনাসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছি।

ডুংরিয়া গ্রামের সেবাগ্রহীতা প্রশান্তি রানী সূত্রধর বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের নিয়মিত দেখভাল করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা জনসচেতনতাসহ নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন।

এফপিআই রেদওয়ানুর রহমান বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এ ছুটে চলা মানবতার তরে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে আমরা অরক্ষিতভাবে জীবনের ঝুঁকির মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।

 

এইচএইচ/আরআর