মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষার অনুমোদন এবার জার্মানিতেও

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৩, ২০২০
০২:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২০
০২:২৫ পূর্বাহ্ন



মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষার অনুমোদন এবার জার্মানিতেও

প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল টেস্ট অনুমোদন করেছে জার্মানি। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, এরই মাঝে মানব শরীরে সম্ভাব্য করোনা টিকার গবেষণা চালাতে অনুমোদন দিয়েছে জার্মানির ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। জার্মানির বায়োটেক কোম্পানি ‘বায়োএনটেক’ এ ভ্যাকসিনের গবেষণা চালাচ্ছে।

আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) দেশটির ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ভ্যাকসিন বিষয়টি জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, করোনার টিকা উদ্ভাবনে চতুর্থ দেশ হিসেবে মানব শরীরে গবেষণা চালাতে যাচ্ছে বায়োএনটেক। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২শ’ মানুষের ওপর সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে গুরুতর করোনা রোগীদের ওপরও এটি প্রয়োগ করা হবে।

বায়োএনটেকের সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনের নাম ‘বিএনটি১৬২’। পিফিজার নামে আরেকটি ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।

দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বেশি মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে, বিশেষ করে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন।

এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করবে যুক্তরাজ্য-বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানক।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড দলকে তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর জন্য অর্থ ব্যয় করতে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য। আরও ২২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের কাজ করতে দেওয়া হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট এই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনটি বিশ্বকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রক্ষা করবে। গবেষণা অনুযায়ী, আমরা ৮০ ভাগ সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এটুকু বলতে পারি, করোনার ভ্যাকসিন সফলভাবে তৈরি করতে পেরেছি আমরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কমপক্ষে ২০টি দেশ কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরি করছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস দেখা দেয়। এর পর ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের সকল প্রান্তে। ইতিমধ্যেই এ ভাইরাসটিতে ২৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর এতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে পৌনে দুই লাখ মানুষ।

 

এএফ/২০