জগন্নাথপুরে ধান কাটছেন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ২৬, ২০২০
১০:২৫ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০২০
১০:২৫ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে ধান কাটছেন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রতিটি হাওরে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী যুবক ও তরুণ।

গতকাল শনিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার ছোট-বড় ১৫টি হাওরে এবার ২০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। হাওরজুড়ে পাকা ধান থাকার পরও এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্য জেলা থেকে তুলনামূলক কম শ্রমিক আসায় অকাল বন্যার আশঙ্কায় কৃষি বিভাগের আহ্বানে ধান কাটতে স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠে নামেন। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশের অন্য জেলা থেকে এবার এখন পর্যন্ত  কৃষি শ্রমিক এসেছেন ১ হাজার ৮শ ৫৫ জন। স্থানীয় কৃষি শ্রমিক রয়েছেন ১ হাজার ৪শ ৫০ জন। আর বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন ৯ হাজার ৯শ ৮৩ জন।

জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন বলেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে গতকাল সকাল ৭টা থেকে ৪শ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন হাওরে শ্রমিক সংকটে পড়া অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন। আমি স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্বুদ্ধ করে ধান কাটার কার্যক্রম তদারকি করছি।

জগন্নাথপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার অরূপ রায় বলেন, জগন্নাথপুরের হাওরগুলোতে ধান কাটতে উপজেলার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছিলাম। যে কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীরা ধান কাটতে মাঠে নামেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন হাওরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের  নেতাকর্মীরা ধান কেটে দিচ্ছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ইউএনও জগন্নাথপুর নামের ফেসবুক পেজে ধান কাটার আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়ার পর থেকে এ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে ধান কাটতে নামেন। তরুণরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় কৃষকদের পাকা ধান কেটে দিয়ে মহতি কাজ করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

 

এএ/আরআর