মহামারিকে কাজে লাগিয়ে শ্রেষ্ঠতর পৃথিবী পুনগর্ঠন করুন

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৯, ২০২০
০৯:৩০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২০
০৯:৩০ পূর্বাহ্ন



মহামারিকে কাজে লাগিয়ে শ্রেষ্ঠতর পৃথিবী পুনগর্ঠন করুন
- জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেজ বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার বলেছেন, চলমান করোনাভাইরাস মহামারিকে শ্রেষ্ঠতর পৃথিবী পুনর্গঠনের কাজে লাগানোর জন্য। একই সঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এখবর জানিয়েছে।

ভিডিও লিংকে দুই দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। 

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এই মহামারি আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির ভঙ্গুর প্রকৃতি প্রকাশ করেছে। এই সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় হলো সাহসী, স্বপ্নদর্শী ও সহযোগিতামূলক নেতৃত্ব। এই একই নেতৃত্বকে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলাও করতে হবে।

জাতিসংঘ প্রধান উল্লেখ করেন, গত দশক ছিল পরিমাপ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে উষ্ণ দশক। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিষ্ক্রিয়তার মাশুল হবে চড়া। কিন্তু প্রযুক্তি আমাদের অনুকূলে রয়েছে।

গুতেরেজ বলেন, এখন অন্ধকার সময় যাচ্ছে কিন্তু আশাও শেষ হয়ে যায়নি একেবারে। শ্রেষ্ঠতর প্রথিবী গড়ে তোলার জন্য এক বিরল ও সংক্ষিপ্ত সুযোগ পেয়েছি আমরা।

গুতেরেজ আরও বলেন, আসুন মহামারি থেকে মুক্তিলাভকে আমরা বিশ্বের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্য সম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আরও সহিষ্ণু পৃথিবীর ভিত্তি হিসেবে গড়ে তুলি।    

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করদাতাদের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থান এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই অর্থ কাজে লাগানো উচিত। মেয়াদোত্তীর্ণ, দূষণকারী ও কার্বন-ঘণ শিল্প রক্ষায় এই অর্থ ব্যয় হওয়া উচিত না।

জাতিসংঘ প্রধান হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, এই মহামারির মতো জলবায়ু পরিবর্তনও কোনও একটি দেশের পক্ষে একা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মতোই গ্রিনহাউস গ্যাস কোনও সীমানা মানে না। বিচ্ছিন্ন হওয়া একটা ফাঁদ। কোনও দেশই একা সফল হতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবগাত (২৯ এপ্রিল) রাত পৌনে একটা নাগাদ বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৮৪৪ জনে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ১৮ হাজার ৮০৯ জন।

 

এএফ/০২