চীন চায় না আমি আবার প্রেসিডেন্ট হই : ট্রাম্প

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ৩০, ২০২০
১১:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২০
১১:০৪ অপরাহ্ন



চীন চায় না আমি আবার প্রেসিডেন্ট হই : ট্রাম্প

‘প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের পদক্ষেপ প্রমাণ করছে আমাকে হারাতে বেইজিং সম্ভাব্য সবকিছু করতে পারে’- বলেছেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার জয়লাভ করেন চীন তা চায় না।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) ওভাল অফিসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে অনেকগুলো বিকল্প ভেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, অনেক কিছু করতে পারি।

মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের জন্য ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ ধরেই চীনকে দায়ী করে আসছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতিকে ফেলে দিয়েছে ভয়াবহ মন্দায়। এসবই ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ধীরে ধীরে ফিকে করে দিচ্ছে বলে মত অনেকের।

যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় শুরুর দিকে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়া রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন করোনাভাইরাস বিষয়ে বিশ্বকে চীনের আরও আগে জানানো উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।

পুনর্নির্বাচনের দৌড়ে তাকে হারিয়ে ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে জেতাতে বেইজিং চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাণিজ্য এবং অন্যান্য বিষয়ে বেইজিংয়ের ওপর তিনি যে চাপ সৃষ্টি করেছেন তা শিথিলে চীন বাইডেনকে বেছে নিতে পারে বলেও ধারণা তার।

চীনা কর্মকর্তারা ধারাবাহিক জনসংযোগের মাধ্যমে ‘নিজেদেরকে নিরীহ’ প্রমাণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে করা বাণিজ্য চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে হলেও করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে তা কাজে লাগেনি, বলেছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়লেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিয়ে কিছু বলছেন না; যাকে আগে বেশ কয়েকবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

বুধবার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, মার্চের শেষদিকে দুই নেতার ফোনালাপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে ওই ‘যুদ্ধবিরতি মনে হয় শেষ হয়ে এসেছে’।

প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ও এর মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে তুমুল কথার লড়াই চলছে।

করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে বলেও কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

বিএ-০৮