শায়েস্তাগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাল্টা চাষ

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ১১, ২০২০
১১:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১১, ২০২০
১১:১৮ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাল্টা চাষ

মাল্টা একটি লাভজনক ফল। সবাই এই ফল খেতে খুব পছন্দ করেন। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জেও মাল্টা চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো হচ্ছে। কম জায়গায় এবং অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় মাল্টার বাণিজ্যিক আবাদের দিকে ঝুঁকছেন মানুষ। 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মো. কাউছার চৌধুরী একটি মাল্টা বাগানের মালিক। ৪ বছর আগে গাছ লাগিয়েছিলেন। গত বছরও মাল্টা বিক্রি করছেন প্রায় ২৫ হাজার টাকার। তিনি ২০ শতক জায়গার উপর মাল্টা চাষ করেছেন। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে এই বাগানটি গড়ে উঠেছে। বাগানটি দেখে এ উপজেলার অনেকেই এখন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায় বাজারে এ ফলের বেশ চাহিদাও রয়েছে।

বাগান থেকে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যে গাছে ফলন শুরু হলেও মূলত তিন বছরে একটি গাছে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল ধরা শুরু করে। তিন বছর বয়সী একটি গাছে প্রতি মৌসুমে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ মাল্টা ধরে। দূর-দূরান্ত থেকে ফল ব্যবসায়ীরা এসে এই বাগানের মাল্টা কিনে নিয়ে যান। অনেকে আগাম বুকিং দিয়েও মাল্টা কেনেন। 

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পেলে আরও বড় পরিসরে উন্নত জাতের মাল্টা চাষ করবেন বলে জানান মো. কাউছার চৌধুরী। তার বাগানের মাল্টা সারাদেশে বাজারজাত করাসহ বাগানের নাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

কাউছার চৌধুরী বলেন, আমি চাই এলাকার যুবকরা এ ধরণের বাগান করে স্বাবলম্বি হোক। আমাকে কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগিতা করার ফলে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বিষয়ে যে কেউ আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে। আমি আরও বড় পরিসরে মাল্টা বাগান করার চেষ্টা করছি। এ বছর মাল্টা বিক্রি শেষে বাগান বর্ধিতকরণের কাজে হাত দেব। 

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৬ সালে কাউছার চৌধুরীকে মাল্টা ফলের চারা, সার আর কিছু টাকা দেই। তিনি ২০ শতক জমিতে ওই চারাগুলো রোপণ করেন। কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাল্টা বাগানটি গড়ে উঠেছে। আর এবার মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।

এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জের নছরতপুরে আরও একটি মাল্টা বাগান আছে। আর কেউ যদি মাল্টা বাগান করতে আগ্রহী হন, তবে কৃষি অফিস তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

 

এসডি/আরআর