ইউরোপে ফুটবল ফেরার পথে ফের করোনা বাধা

খেলা ডেস্ক


মে ১২, ২০২০
০২:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১২, ২০২০
০২:২১ পূর্বাহ্ন



ইউরোপে ফুটবল ফেরার পথে ফের করোনা বাধা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমায় ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল লিগ চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলছে খেলোয়াড়দের অনুশীলন। তারপরও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নতুন করে  খেলোয়াড়রদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা।
আগামী ১৬ মে থেকে ফের ফুটবল মাঠে গড়ানোর সব কার্যক্রম সেরে ফেলেছে জার্মান বুন্ডেসলিগা কর্তৃপক্ষ। ১২ জুন থেকে স্পেনেও ফুটবল মাঠে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেভাজ। ফেরার লক্ষ্যে ইতালিতে নিয়মিত অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। ইংল্যান্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর জন্যও তোড়জোড় চলছে। কিন্তু আবারো কি মাঠে ফুটবল ফেরানো সম্ভব হবে?
গত শুক্রবার দলের সকল খেলোয়াড়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে বুন্ডেসলিগা ২'এর ক্লাব ডায়নামো ড্রেসডেন। কারণ খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পর সেখানে নতুন দুই খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে পুরো দলকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে। এছাড়া এফসি কয়িঁ ও এফসি এরজগেবিরগে উয়ের খেলোয়াড়সহ মতো ১০ জন আক্রান্ত আছেন জার্মানিতে।
নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে স্পেনেও। শীর্ষ দুই লিগের পাঁচ জন ফুটবলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ, রিয়াল বেটিস ও গ্রানাদার খেলোয়াড়র আরও পাঁচ জন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত আগে থেকেই।
করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে ইংলিশ লিগেও। ব্রাইটনের প্রধান নির্বাহী পল বারবার গতকাল নিশ্চিত করেছেন, রোববার দলের তৃতীয় কোনো খেলোয়াড় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছেন। যা নিঃসন্দেহে ইংলিশ ফের শুরুর পথে বড় অন্তরায়।
ইতালিতে অবশ্য এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো খেলোয়াড় আক্রান্ত হননি। তবে এখনও পুরনো ১১ জন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। এরমধ্যে ফিওরেন্টিনার ৪ জন, সাম্পাদিয়ার ৪ জন ও তোরিনোর ৩ জন রয়েছে। যদিও অনুশীলন চলছে খেলোয়াড়দের। যদিও এখনও ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন চলছে। আগামী ১৮ মে থেকে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। পর্তুগালে ভিক্টোরিয়া এসসির ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তুরস্কেও আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। এছাড়া অনেক খেলোয়াড়ই মাঠে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। এই অবস্থায় ফের ফুটবল শুরুর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।

এআরআর/১০