বড়লেখায় ধান বিক্রির সুযোগ পেলেন ৭৪৩ কৃষক

বড়লেখা প্রতিনিধি


মে ১৪, ২০২০
০৩:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৪, ২০২০
০৩:২৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় ধান বিক্রির সুযোগ পেলেন ৭৪৩ কৃষক

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে লটারির মাধ্যমে ৭৪৩ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ মে) দুপুরে উপজেলা খাদ্য ও কৃষি বিভাগ লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান কৃষকদের নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত এসব কৃষক ব্যতিত কেউ ধান বিক্রয় করতে পারবেন না।

উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কৃষক নির্বাচনের লটারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবল সরকার, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মালিক ঝুনু প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় এবার ১০৭ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো ধান আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বোরো চাষীর কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে সরকারিভাবে ৭৪৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ।

জানা গেছে, প্রকৃত কৃষক যাতে সরকারি দরে ধান বিক্রয় থেকে বঞ্চিত কিংবা কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য এবার কৃষক বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনতে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতি কৃষক ১ টন ধান বিক্রয় করার নিয়ম রয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকা থেকে সর্বমোট ১ হাজার ৩১ জন বোরো চাষী ধান বিক্রয়ের জন্য তালিকাভুক্ত হন। তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৭৪৩ জন কৃষককে বাছাই করা হয়েছে। নির্বাচিত এসব কৃষক ব্যতিত কেউ ধান বিক্রয় করতে পারবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, নির্বাচিত কৃষক সশরীরে উপস্থিত থেকে ধান বিক্রয় করতে হবে। কার্ডধারী তালিকাভুক্ত কৃষক ব্যতিত অন্য কেউ খাদ্যগুদামে যেতে পারবেন না। অভিযোগ রয়েছে, অতীতে অনেক কৃষক সিন্ডিকেটের কাছে কৃষক কার্ড বিক্রি করে দিতেন। এবার কোনো কৃষক কৃষি কার্ড বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট চালানো হবে।

 

এজে/আরআর