জুড়ীতে আ.লীগের ত্রাণ কমিটি থেকে ১৫ জনের পদত্যাগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


মে ১৫, ২০২০
০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২০
০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন



জুড়ীতে আ.লীগের ত্রাণ কমিটি থেকে ১৫ জনের পদত্যাগ

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক গঠিত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ বাস্তবায়ন কমিটি থেকে ১৫ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাঞ্চন কুমার চক্রবর্তী ও যুগ্ম-আহবায়ক এম. তাজুল ইসলামের স্বাক্ষরে ২২ সদস্যের ত্রাণ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির ১৫ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৩ মে) রাতে পদত্যাগপত্রটি প্রকাশ পায়।

পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন- মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মো. আরমান আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, শাহীন আহমদ, সজল দে, উমাকান্ত গোস্বামী, পবন চাষা, পরেশ বুনার্জী, ইরেশ পাল, শওকত আলী, দোলোয়ার হোসেন জায়েদ, আব্দুল বাছিত ছায়াদ, সানি পান্ডে, গোলাম জাকারিয়া পিয়াল ও হিমাংশু মোহন পাল।

পদত্যাগকারী সদস্য গোলাম জাকারিয়া পিয়াল জানান, গত কয়েকদিন আগে আমাদের ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে ১০০ করে ৯০০ ত্রাণ আসে। এই ত্রাণ বন্টনের তালিকা প্রস্তুত করার সময় আমাদের এই ১৫ জনের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়নি বা কোনো মতামতও নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু দেশে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ চুরির ঘটনা ঘটছে আর তারা আমাদের ১৫ জনকে বাদ দিয়ে তালিকা করেছে, তাহলে এখানে কিছু একটা ঘটতেও পারে। কিছু ঘটলে পরে আমাদের বিতর্কিত হতে হবে বা জবাবদিহি করতে হবে। এ রকম কিছু হলে না ছুয়ে কেন বদনামি হব? সে কারণে আমরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাঞ্চন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মূলত ওয়ার্ড কমিটি স্ব স্ব ওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করেছে। তাদের কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে উপজেলা সভাপতি বা সেক্রেটারিকে অবগত করতেন। তা না করে তারা চান বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে, আমদেরকে অবমাননা করতে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দলকে কলুষিত করার জন্য একটি চক্রান্ত করছেন। আর কিছু আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এ রকম কাণ্ড করা হচ্ছে।

 

এসএইচ/আরআর