শায়েস্তাগঞ্জে বেচাকেনায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ১৮, ২০২০
০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৮, ২০২০
০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে বেচাকেনায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের মানুষ যেন করোনাকে চেনেন না! যেন এখানে কোনো লকডাউন নেই! যার যেমন খুশি ইচ্ছামতো চলছেন। কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দেদারছে চলছে কেনাকাটা। ঈদ কেনাকাটায় নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ সবাই বের হচ্ছেন ঈদের কেনাকাটায়। সবাই বের হলেও কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যবিধিতে নেই কোনো মনোযোগ। সবাই এখন ব্যস্ত ব্যবসা নিয়ে।

আজ রোববার (১৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, নেই শারীরিক দূরত্ব। বরং কার আগে কে কেনাকটা করবে এ নিয়ে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তেরও কোনো বাস্তবায়ন নেই। প্রথমে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিংমল না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও এখন কেউ মানছেন না এ সিদ্ধান্ত। আর এতে ক্রেতারা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন।

এর আগে গত ১১ মে থেকে দোকানপাট খোলা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশেষ করে শহরের কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

রেশমা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। ঈদে বাচ্চাদের নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে হবে। তাই নতুন কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। কেনাকাটা করতে এসে তো আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায় না!

গত ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত আকারে সরকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ আলাপ-আলোচনা করে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঈদ পর্যন্ত। তবে ১১ মে সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজারে প্রায় অধিকাংশ দোকান খোলা রেখে কাপড়, কসমেটিকস ও জুতা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে জনসাধারণ কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে তাদের কেনাকাটা করছেন। এর ফলে শায়েস্তাগঞ্জের মানুষদের চরম করোনা ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত বলেন, আমাদের ব্যকস'র আওতাধীন ব্যবসায়ীরা বলতে গেলে দোকানপাট খুলছেন না। হয়তো দুই-চারজন দোকান খোলা রাখছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করে বন্ধ করে দেব।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকানপাট সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ সরকারি নির্দেশনা না মানেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এসডি/আরআর