নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৯, ২০২০
১২:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৯, ২০২০
১২:১৭ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের কাষ্টঘর এলাকায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া এক রোগীর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা না হওয়ায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তার স্বজনরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলে বাসা লকডাউনের নিয়ম থাকলেও এখন পর্যন্ত সে রকম কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরো এলাকা লকডাউনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
জানা যায়, গত রবিবার (১৭ মে) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় কাষ্টঘর এলাকার এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর বাসা লকডাউন করেনি প্রশাসন, সংগ্রহ করা হয়নি আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের নমুনা।
এ বিষয়ে আক্রান্তের ভাই সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত রবিবার রাতে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। বাসায় আমার ছোট বোনের কাশি আছে, আমার ছোট মেয়ে বিকেল থেকে বলছে তার মাথায় ব্যাথা। এ অবস্থায় আমরা খুব উদ্বিগ্ন সময় পার করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল আক্রান্ত হলেও এখনও প্রশাসনের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। বাসাও লকডাউন করা হয়নি। তবে গতকাল থেকে আমরা নিজ থেকে বাসার বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’
এলাকায় একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এলাকার অন্য বাসিন্দারাও আছেন করোনা আতঙ্কে। তারা বলছেন, এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে লকডাউন করা দরকার।
কাষ্টঘরের বাসিন্দা রুহেল আহমদ বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবার নিজ থেকেই বাসায় আছেন, তারা বের হচ্ছেন না। তবে আক্রান্তের বড় ভাই এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, নামাজে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ কারণে সবার মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক কাজ করছে। তাই আমরা মনে করি এলাকাটি লকডাউন করা হোক।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী সুজিত শ্যাম পল সিলেট মিররকে বলেন, ‘নানা কারণে কাষ্টঘর এলাকার বিষয়ে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া দরকার। এখানে জনবসতি বেশি, বস্তিও আছে। তাছাড়া আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগে পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক চলাফেরা করেছেন। সবমিলিয়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা জরুরী বলে আমি মনে করি।’
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমি আক্রান্তের বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি, আগামীকাল তিনি নিজে সেখানে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যাক্তিগতভাবে আগামীকাল সেই পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাব।’
এনএইচ/বিএ-০৪