জগন্নাথপুরে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


মে ১৯, ২০২০
০৭:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৯, ২০২০
০৭:৫৪ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়তে থাকলেও সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে ঈদ বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। লকডাউন সীমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাট-বাজারে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর বাজারে নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়।  কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ক্রেতা- বিক্রেতা ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বাড়তে থাকলে অনেক জায়গায় বিপণিবিতান বন্ধ রাখা হচ্ছে। কিন্তু জগন্নাথপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরা সীমিত লকডাউনের সুযোগ পেয়ে ব্যতিক্রমী উপায়ে সকল বিপণিবিতানসহ সবধরণের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। অনেক ব্যবসায়ী দোকানের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করছেন।

জগন্নাথপুর বাজার তদারক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন জানান, সীমিত সময়ের জন্য দোকান খোলার অনুমতি পাওয়ার পর থেকে জগন্নাথপুর বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। নিত্যপণ্যের দোকানের পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। আমরা সচেতনতার জন্য মাইকিং করে প্রচার করেছি। তবুও বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গায়ে গা ঘেঁষে ঈদের কেনাকাটা করছেন।

উজ্জ্বল গার্মেন্টসের মালিক রাজন দাশ জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে বড় বড় শপিংমল বন্ধ থাকায় ঈদ বাজারকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা নতুন কোনো মালামাল আনতে পারছেন না। তারপরও ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন।

জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ দুর্যোগে নানা সমস্যায় থেকেও প্রবাসীরা দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের আর্থিক সহায়তা করছেন। এছাড়াও বোরো ধান ঘরে উঠানোর এই মুহূর্তে মানুষের হাতে টাকা রয়েছে। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে আসছেন ক্রেতারা।

জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আফসর উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত সময়ে ব্যবসা করার কথা থাকলেও তারা চোর-পুলিশ খেলায় মেতে উঠেছেন। পুলিশ দেখলে দোকান বন্ধ করেন, আর পুলিশ চলে গেলে দোকান খোলা রাখেন। মানুষের মধ্যে করোনার ভীতি কমে গেছে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ লোকজনকে সচেতন করতে দিন-রাত কাজ করছে। ঈদকে সামনে রেখে হাট-বাজারে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। বাজারে নারীদের উপস্থিতিও বাড়ছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

 

এএ/আরআর-০৭