রোদের অভাবে ধান নিয়ে বিপাকে শায়েস্তাগঞ্জের কৃষকরা

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ২১, ২০২০
০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২১, ২০২০
০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন



রোদের অভাবে ধান নিয়ে বিপাকে শায়েস্তাগঞ্জের কৃষকরা

ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উঠতি পাকা বোরো ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। গত কয়েকদিন যাবত রোদ আর মেঘের লুকোচুরি চলছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে শায়েস্তাগঞ্জে বেশ দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবারও (২০ মে) উপজেলার কোথাও দেখা মেলেনি রোদের। অবিরত বৃষ্টি আর বাতাসে ধানের গাছগুলো মাটি আর পানিতে একাকার হয়ে গেছে।

পাকা ধানের নিম্নাঞ্চলের জমিতে বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে প্রায় হাঁটুজলে পরিণত হয়েছে। জমি থেকে বৃষ্টির পানি ধীরে ধীরে নামার কারণে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আবার অনেকেই পাকা ধান কেটে সিদ্ধ দিয়েছেন, কিন্তু রোদে শুকাতে না পারায় সেই সোনার ধান নষ্ট হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা করলেও গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবারের ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধানের ক্ষতি হওয়ায় আশানুরূপ ফলন নিয়ে চাষিরা শঙ্কায় পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদেরকে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার সুরাবই গ্রামের কৃষক মো. কামরুল হাসান বলেন, আমি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছি। এবার ফলন ভালোই হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে আমার প্রায় ৬ বিঘা জমির জিরা জাতের ধান মাটিতে পড়ে গেছে। জমিগুলোতে ঢলের পানি জমে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত মজুরী গুনতে হচ্ছে। ভালো ফলন পাব কি না এই নিয়ে শঙ্কায় আছি।

সুরাবই গ্রামের কৃষাণী জহুরা আক্তার সাজন বলেন, গত সোমবার ২০ মণ ধান সিদ্ধ দিয়েছি। কিন্তু রোদের অভাবে ধানে গন্ধ চলে আসছে। এই ধান শুকিয়ে খাব কিভাবে এই চিন্তায় আছি।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, এ বছর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল জমি ১ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। ধান কাটার জন্য উপজেলার ব্রাক্ষণডুরা ও শায়েস্তাগঞ্জে ২টি মেশিন দেওয়া হয়েছে। মেশিনের পেছনে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। যে কেউ ফোন করলে ধান কেটে দেওয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফসলের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে চাইলে সুকান্ত ধর বলেন, কিছুটা তো ক্ষতি হবেই। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। আমরা যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি কৃষকদের পাশে থাকার।

 

এসডি/আরআর-১৩