নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২১, ২০২০
০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২১, ২০২০
০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সব ধরনের পরিস্থিতিতে অতীতে সিলেটে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য দেখা গেলেও এবার দেখা গেল উল্টো চিত্র। সিলেটের ব্যবাসায়ীরা ঈদ পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ব্যতিক্রম বন্দরবাজারের হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষো করেও দোকান খোলা রেখেছেন এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন স্বল্প আয়ের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করেই দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলা রাখা যাবে বলে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সিলেটের ব্যবসায়ীরা ঈদ পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ মে পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধই ছিল। কিন্তু গত ১২ মে হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলে দেন। হকার্স মার্কেট খোলা থাকায় হাসান মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন বলে তখন বলেছিলেন মার্কেট কর্তৃপক্ষ। পরে নানা সমালোচনার মুখে মার্কেট বন্ধ করা হয়। তবে গত সোমবার (১৮ মে) থেকে আবার খুলে যায় হাসান মার্কেটের কপাট। এবার মার্কেট কর্তৃপক্ষ দোহাই দিলেন স্বল্প আয়ের মানুষদের। গরিবদের কথা চিন্তা করে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী বলেন, ‘হাসান মার্কেট যেহেতু গরিবদের মার্কেট। তাই আমরা তাদের কথা চিন্তা করে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন, মার্কেট বন্ধ থাকলে যাদের ঘরে খাবার জোটে না। তাদের কথাসহ সবকিছু বিবেচনা করে আমরা মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এটিএম শোয়েব সিলেট মিররকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে কেউ দোকানপাট খোলা রাখলে আমাদের সেখানে কিছুই বলার থাকে না। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কেউ মার্কেট খোলা রাখলে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বড়জোর অনুরোধ করতে পারি। যেন তারা মার্কেট বন্ধ রাখেন। তবে কাউকে জোর করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে ব্যবসায়ীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটা হয়তো অনেককেই বোঝানো সক্ষম হয়নি। আমরাও ব্যবসায়ীদের ডাকেই গিয়েছিলাম। করোনার কারণে সিলেটের ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এরপরও তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে হাসান মার্কেটসহ যে মার্কেটগুলো খোলা ছিল এগুলো বিচ্ছন্ন ঘটনা।’
আরসি/এনপি-১৪