ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না মানুষকে

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ২২, ২০২০
১০:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৩, ২০২০
০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন



ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না মানুষকে

সিলেটে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের হার যেখানে দ্রুত বাড়ছে সেখানে সামাজিক দূরত্ব আরও বেশি দরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হবারই কথা। কিন্তু সিলেটে মানুষকে কোনোভাবেই ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না। করোনাভীতি উপেক্ষা করেও মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন।

জরুরি প্রয়োজনতো আছেই। কিন্তু সিলেট নগরে মানুষ প্রয়োজন ছাড়াও বের হচ্ছেন। ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটার জন্য একশ্রেণির মানুষ দোকানপাট-রাস্তাঘাটে ভিড় করছেন; পাড়ায় পাড়ায় আড্ডাও চলছে। আজ শুক্রবার (২২ মে) বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করেও অসংখ্য মানুষকে নগরের দোকানপাটে ভিড় জমাতে দেখা যায়। এর মধ্যে একটি বড় অংশই বের হন ঈদের কেনাকাটা করতে।

সিলেট নগরের প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার। ঈদের কেনাকাটার জন্য গত কয়েকদিন ধরে সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। বন্দরবাজার ছাড়াও জিন্দাবাজার ও আম্বরখানা এলাকাতেও মানুষের উপস্থিতি দিনদিন বাড়ছে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই নগরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দেখে বোঝার উপায় নেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এখানে লকডাউন চলছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা ও আম্বরখানা এলাকার বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে নারী ও পুরুষের উপচেপড়া ভিড়। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। অনেকের হাতে-মুখে কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম দেখা যায়নি।

মানুষের ভিড় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই গায়ে গা লাগিয়ে তারা কেনাকাটা করছেন। সেখানেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই।

বন্দরবাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী ফুল মিয়া বলেন, ‘আমি তো মুখোশ (মাস্ক) ব্যবহার করছি। গ্লাভস ব্যবহার না করলেও বাসায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করছি।’ স্বাস্থ্যবিধি না মানা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে অনেকেই আসে। তাই লেনদেনের সময় মাঝে মাঝে জটলা লেগে যায়। করার কিছু থাকে না।’

এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় সিলেট মিররকে বলেন,  ‘মানুষের এমন ভিড়ের কারণে করোনাভাইরাস আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষ সচেতন হলেই অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। অন্যথায় সেটা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। অনেকে শুনছেন, অনেকে শুনছেন না। অনেকে সরকারের নির্দেশনা মানছেন না। তবু আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

 

আরসি-০৩/এনপি