‘রেমডিসিভির’ বাজারজাতের অনুমতি পেল এসকেএফ, হাসপাতালে সরবরাহ শুরু

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৪, ২০২০
০৪:৩১ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৪, ২০২০
০৬:৪১ অপরাহ্ন



‘রেমডিসিভির’ বাজারজাতের অনুমতি পেল এসকেএফ, হাসপাতালে সরবরাহ শুরু

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কার্যকর ওষুধ রেমডিসিভির বাজারজাত করার অনুমোদন পেয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আজ রবিবার (২৪ মে) ঔষধ প্রশাসন এই অনুমতি দেয়।

অনুমতি পাওয়ার পর এসকেএফ ইতিমধ্যে ১৩টি হাসপাতালকে এই ওষুধ সরবরাহ করেছে। এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডিসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।

রেমডিসিভির বাজারজাতের অনুমোদনের বিষয়ে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এসকেএফকে ওষুধটি বাজারজাতের অনুমতি দিয়েছি। তারা এটা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করতে পারবে।’

রেমডিসিভির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুমোদনের পরপরই এসকেএফের ফরমুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডিসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। এসকেএফ মের প্রথম সপ্তাহে এর উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঔষধ প্রশাসন আজ এটি বাজারজাতের অনুমতি দেয়।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), জাপান সরকার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’ বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি ওষুধ হিসেবে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডিসিভির। গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।

এনএইচ/বিএ-১৭