মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়, করোনা থেকে মুক্তির দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ২৫, ২০২০
০৮:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৫, ২০২০
০৯:২৩ পূর্বাহ্ন



মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়, করোনা থেকে মুক্তির দোয়া

নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য নির্দেশনা মেনে সকাল সাড়ে ৮টায় হজরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন মুসল্লিরা। ছবি: এইচএম শহিদুল ইসলাম

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে সিলেটে বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাত শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনার পাশাপাশি বালা মুসিবত থেকে দেশের সুরক্ষা চাওয়া হয় মহান আল্লাহর কাছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ সোমবার (২৫ মে) ভোর থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সকাল ৭টার পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ঈদের জামাতে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে ঈদের জামাতের পর আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মুসল্লিদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। 

প্রতিবছর সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারণে এবার সেখানে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়নি। শহরতলীর অন্য ঈদগাহগুলিতেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

সকাল সাড়ে ৮টায় হজরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৯টায়।

ঈদের জামাতে অংশ নিতে ৮টার আগেই মুসল্লিরা হজরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ মসজিদে আসতে থাকেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন মসজিদে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে তারা কাতারে দাঁড়ান। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সব উম্মতে মোহাম্মদির গুনাহ মাফ চাওয়া হয়েছে। কোলাকুলি ও করমর্দন ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ হলেও এবার চিরচেনা এই দৃশ্য চোখে পড়েনি। সকাল সাড়ে ৯টায় এই মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে এবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম এবং সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালেক্টরেট জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় চারটি জামাত। প্রয়োজন অনুসারে নগরের অন্য মসজিদগুলোতে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এনপি-০১