ঈদের আনন্দ নেই শায়েস্তাগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মহল্লায়

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ২৫, ২০২০
০৭:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৫, ২০২০
০৭:০৯ অপরাহ্ন



ঈদের আনন্দ নেই শায়েস্তাগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মহল্লায়

ঈদের আনন্দ নেই শায়েস্তাগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মহল্লার বাসিন্দাদের

চরম অর্থ সংকটে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে শায়েস্তাগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মহল্লার ২৯টি পরিবারের অধিবাসীর। ঈদেও আনন্দ নেই তাদের।  

জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে অষ্টগ্রাম থেকে কয়েকটি উদাস্তু পরিবার শাহজীবাজারের সুতাং এলাকায় এসে ঘর বাঁধে। বর্তমানে এই মহল্লায় ২৯টি পরিবারের বসবাস। কাগজে কলমে তাদের ভোটের অধিকার থাকলেও নাগরিক অধিকার প্রায় নেই বললেই চলে।  ভোট শেষ হলে কেউ তাদের খোঁজ রাখে না। ফলে মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। 

আজ সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বস্তির শিশুদের কপালে জুটেনি ঈদের জামা। অনাদরে অবহেলায় গতানুগতিকভাবেই কাটছে তাদের ঈদ। ঈদের নামাজের পর কথা হয় আব্দুল্লাহপুর মহল্লার সুফিয়া আক্তারের সঙ্গে। স্বামী হারা সুফিয়া তিন ছেলে ও  এক মেয়েকে নিয়ে ইট ভেঙ্গে সংসার চালান। চলতি লকডাউনে ইট ভাঙ্গার কাজও নেই। তাই অনাহারেই দিন কাটছে। একই মহল্লার সরুপা আক্তারের দুই ছেলে এক মেয়ে। স্বামী নেই। কষ্টে কাটছে দিন। অপিয়া বেগমের অসুস্থ সামী, ৩ ছেলে ও এক মেয়ে কর্মহীন থাকায় কোনোমতে খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

এই মহল্লার যুবকদের  প্রধান আয়ের উৎস বাজারের ধান ব্যবসায়ীদের ধান লোড ও  আনলোড করা। কিন্তু লকডাউনে কোনো কাজ নেই নেই এই মহল্লার রফিক, বকুল, ইনু, নাজিম উদ্দিন কাজিম উদ্দিনের। আব্দুল্লাহপুর  মহল্লাবাসীর কারোরই নিজের জায়গা নেই। বস্তির ঘরে প্রতিমাসে ভাড়া দিতে হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এই মহল্লার জায়গার মালিক নূরপুরের তারা মিয়া। এই মহল্লার বেশিরভাগেরই রেশন কার্ড নেই। তাই তারা সরকারি ত্রাণও পাননি। তবে বেশ কয়েকজন ১০ টাকা কেজির চাল পেয়েছেন। কিন্তু শুধু চালে তো আর সংসার কাটে না। ছেলে মেয়েদের কেউ স্কুলেও যায় না, ফলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। 

তবে এইসব পরিবারে ঈদের কয়েকদিন আগে চাল, ডাল ও আলু দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিকী। এদের নিজস্ব বাসস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২-৩ জন সরকারি ঘর পেয়েছেন, আমার কাছে তালিকা আছে, বাকিদের ঘরের বিষয়েও আবেদন করা আছে, প্রক্রিয়াটি চলমান।’

এসএইচআর/এনপি-০৫