মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট
মে ২৬, ২০২০
০৩:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২৬, ২০২০
০৩:১৭ অপরাহ্ন
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাটের নদ-নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গোয়াইন এবং সারী নদের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. নাজমুস সাকিব।
তবে পানি হু হু করে বাড়লেও এখন পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরাঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের মানুষের স্বভাবিক জীবনযাত্রায় দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।
গত কয়দিনের টানা বর্ষণ আর অবিরাম বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে সব কয়টি ইউনিয়নে বোনা আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া এসব ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, গোয়াইনঘাটে বন্যায় প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১০/১৫ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা, ৩০ হেক্টর বোনা আউশ ও ৫ হেক্টর সবজিতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত ওই বীজতলা ও সবজিতলা ২/৩ দিনের মধ্যে শুকিয়ে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
তবে ৪ দিনের অধিক সময় এসব বীজতলা পানিতে ডুবে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে গোয়াইন এবং সারী নদের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলাবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার জাফলং এলাকা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ায় চা-বাগানের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় জনগণের দূর্ভোগ লাগবে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এমএম/বিএ-০৫