কানাইঘাট প্রতিনিধি
মে ২৬, ২০২০
০৭:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২৬, ২০২০
০৭:০৩ অপরাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর মজুদ করে রাখা হয়েছে। লোভা ও সুরমা নদীতে জোয়ার নামার পর এসব মজুদকৃত পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে দেশের বড় বড় পাথর বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান নদীপথে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর দেশের বিভিন্ন এলাকায় লঞ্চ, স্টিমার, বলগেট, কার্গোযোগে নিয়ে যান।
সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লোভা ও সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার এ মহাদুর্যোগকালীন সময়ে পাথর ব্যবসায়ীরা নৌকায় পাথর উত্তোলনের জন্য সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের কোয়ারি এলাকায় জড়ো করায় সচেতন মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অনেকে বলেছেন, ব্যবসায়ীরা পাথর বিক্রি করবেন- এতে বাধার কিছু নেই। কিন্তু যখন করোনা সারাদেশে মহামারী হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে, কানাইঘাটেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা পাথর শ্রমিকদের জড়ো করলে এলাকায় করোনার ঝুঁকি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে পারে।
বড় বড় পাথর ব্যবসায়ীরা সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে ইতোমধ্যে লঞ্চ, স্টিমার ও কার্গোতে পাথর বোঝাই শুরু করেছেন। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ভোলা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় পাথর বহনকারী নৌযান আসতে শুরু করেছে। এতে করে এলাকার মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সচেতন মহল মনে করেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোয়ারি এলাকা পাথর শ্রমিক জড়ো করা বা পাথর বিক্রি থেকে বিরত থাকা উচিত ব্যবসায়ীদের।
এমআর/আরআর-০৭