গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
মে ২৮, ২০২০
০৯:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২৮, ২০২০
০৯:৪২ অপরাহ্ন
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে চলমান লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতের পাঁচজন নাগরিক তাদের দেশে ফিরেছেন। একই দিন ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া চারজন বাংলাদেশি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফিরেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে ভারতীয় পাঁচজন তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে তাদের দেশে যান এবং সন্ধ্যায় চার বাংলাদেশি তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফিরেন। দেশে যাওয়া ভারতীয়রা হলেন, চিন্তাহরণ চৌধুরী, প্রীতি চৌধুরী, নেহা খংলা, ব্রায়ান মাইকেল খংওয়ার নংসিয়েট ও সাকানি ধনি কিন্ডিয়াহ। এদের মধ্যে দুইজন ভ্রমণ ভিসায় এবং তিনজন স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিলেন।
অপরদিকে দেশে ফিরে আসা ৪ বাংলাদেশি হলেন, মোনা বিআইএ চৌধুরী, আব্দুস সালাম, মো. আব্দুল খালেক এবং মো. নূর আলম। এদের মধ্যে একজন স্টুডেন্ট ভিসায় এবং তিনজন ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়েছিলেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইমিগ্রেশন সুবিধা বন্ধ থাকায় পড়ালেখা ও ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের চারজন এবং বাংলাদেশে এসে ভারতের পাঁচজন নাগরিক উভয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছিলেন। দুই দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আবেদন করা এই নাগরিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এসব নাগরিক নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসার জন্য আবেদন করেছিলেন।
তামাবিল স্থলবন্দরে নিয়োজিত মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দেশে ফেরা ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ মেলেনি। তারা সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। তারপরও সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) মওদুদ আহমেদ রুমি বলেন, ‘স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে গত ২ মে ১ নারীসহ ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেন। এর প্রায় মাসখানেক পর ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে থাকা ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এ কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এমএম/এনপি-১৯