শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা
জুন ০১, ২০২০
১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ০১, ২০২০
১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও দীর্ঘ ৬৭ দিন পর সড়কে নেমেছে গণপরিবহন। আজ সোমবার (১ জুন) সকাল থেকে সারাদেশের ন্যায় শায়েস্তাগঞ্জে ও গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়।
তবে বাসের ভেতর শারীরিক দূরত্ব কিছুটা থাকলেও বাস টার্মিনালে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, মানুষের ব্যাপক ভিড়।
সকালে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রথম দিন হওয়ায় অনেক গণপরিবহনই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী তুলছে। তবে গাড়ির ভেতর অনেক যাত্রীরই মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাড়িতে উঠছেন যাত্রীরা।
শায়েস্তাগঞ্জ এ হানিফ, শ্যামলী, এনা, মর্ডাণ পরিবহন,হবিগঞ্জ সিলেট বিরতীহীন সহ অনেক বাস ই ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলতে দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন পর সড়কে গণপরিবহন নামলেও দেখা যায়নি কোনো শৃঙ্খলা। ফের এলোমেলো ও পাল্লা দিয়ে বাস চালাতে দেখা যায়।
শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রীজ বাস র্টামিনালে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কাউন্টারের বাইরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের দায়িত্ব যেন কারো নেই। অনেক যাত্রীই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। নতুন ব্রীজ থেকে ভোর থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যে বাস ছেড়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই অনেক বাসকে চলতে দেখা যায়।
কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও যাত্রীদের সুরক্ষায় কাউন্টার ও বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ফলে কতোটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে পারবে, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অলিপুর দিগন্ত কাউন্টারের নাইম মিয়া বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী নিতে। কিন্তু যাত্রীরা তা না মেনে জোর করে ওঠার চেষ্টা করছেন। ঢাকার পথে রওনা হওয়া উজ্জল মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, বাসে স্বাস্থ্যবিধি বলতে শুধু দূরত্ব? এখানে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্ক শুভ্র রায় বলেন, আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে স্প্রে ও স্যানিটাইজার কিনে দিয়েছি, পুরো বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করিয়েছি। এবং বর্ধিত ভাড়ার তালিকা প্রতি বাসে কপি করে দিয়েছি, কোন অবস্থাতেই একটি বাসে ২২ জনের বেশি যাত্রী কেউ বহন করতে পারবে না। যদি কেউ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে সেই গাড়িকে সাসপেন্ড করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা আজকে ১ম দিনেই তিনটি গাড়িকে ৭ দিনের জন্য বহিষ্কার করেছি।