নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ০৬, ২০২০
০৪:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৬, ২০২০
০৪:২৯ অপরাহ্ন
সিলেটে ঈদের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতিদিনই আগের দিনের রের্কড ভেঙ্গে যাচ্ছে।
আজ শনিবার (৬ জুন) সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৪১৩ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ৩১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৬ জন। এ অবস্থায় সিলেটকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে রেডজোন ঘোষণার দাবি উঠেছে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন এখনই রেডজোন ঘোষণা করে সিলেটের মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে না পারলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, সিলেট বিভাগে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪১৩ জনের মধ্যে ৭৮৩ জনই সিলেট জেলার। এছাড়া সুনামগঞ্জের ২৭০ জন, হবিগঞ্জের ২০৮ জন ও মৌলভীবাজারের ১৫২ জন।
আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেশি তেমনি মৃত্যুও হয়েছে সিলেট জেলায় সবচেয়ে বেশি। সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী ৩১ জনের মধ্যে ২৪ জনই সিলেট জেলার। শনাক্তের দিক দিয়ে সিলেট জেলায় বিশ্বনাথ ও জৈন্তাপুর উপজেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বিশ্বনাথে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ জনই পুলিশ সদস্য। আছেন স্বাস্থ্যকর্মীও। জৈন্তাপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক রয়েছেন। উপজেলায় করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বেশকিছু স্থানে করোনার সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাভিত্তিক রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় সিলেট জেলাকেও রেডজোন ঘোষণার দাবি উঠেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ মনে করেন এখনই সিলেটকে রেড জোন ঘোষণা করে কারফিউ জারি করা উচিত। সিলেটে যে হারে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে কারফিউ ছাড়া সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে প্রায় সবার বাসায় কেউ না কেউ অসুস্থ আছেন। তবুও সিলেটের মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। এই মুহূর্তে কারফিউর পাশাপাশি জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই জরিমানা করতে হবে।’
সিলেটকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা ঢাকা থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান। তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘রেড জোনের বেশ কিছু বিষয় আছে, যেমন এক এলাকায় কতজন আক্রান্ত, জনসংখ্যার ঘনত্ব এসব বিষয় বিবেচনা করা হবে। আমাদের তথ্য দেখে প্রয়োজন মনে করলে তারা সিলেটকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করবেন।’
এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবুল কালাম সিলেট মিররকে বলেন ‘রেড জোনের ঘোষণা ঢাকা থেকে দেওয়া হবে। ঘোষণা এলে আমরা লকডাউন বা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এনএইচ/এনপি-১৫