পানির নিচে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

আবির হাসান মানিক, তাহিরপুর


জুন ০৭, ২০২০
০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৭, ২০২০
০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন



পানির নিচে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

গত দুইদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর ব্রিজ সংলগ্ন প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে তাহিরপুর উপজেলার লোকজন ছাড়াও মধ্যনগর থানার লোকজনও চলাচল করে থাকেন।

পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা নদীর পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে আজ শনিবার (৬ জুন) দেখা গেছে, উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। ডুবে যাওয়া রাস্তার এ অংশটুকু লোকজন ডিঙি নৌকায় করে পার হয়েছেন।

তাহিরপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রতিবছরই সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন বলেন, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিরসনে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি। 

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, প্রতিবছরই টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের এই অংশটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। আমি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে এসেছি। এটি স্থানীয় এলজিইডি'র উদাসীনতা ও গাফলতির ফল বলে মনে করছি। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবেন।

আর এলজিইডি সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজটি একটু বিলম্বিত হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেই তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কটি সংস্কার করে দ্রুত জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

এএইচ/আরআর-১১