জগন্নাথপুরে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা, বাড়ছে ঝুঁকি

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


জুন ০৮, ২০২০
১২:৪৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৮, ২০২০
১২:৪৮ পূর্বাহ্ন



জগন্নাথপুরে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা, বাড়ছে ঝুঁকি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও অধিকাংশ মানুষ বাইরে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছেন। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আজ রবিবার (৭ জুন) দুপুরে জগন্নাথপুরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র জগন্নাথপুর পৌরশহরের সদরের জগন্নাথপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে বেশিরভাগ মানুষকে দেখা গেছে মাস্কহীন অবস্থায়। তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে গায়ে গা ঘেঁষে চলাচল করছেন জনসাধারণ। করোনায় ভয়াবহতার ঝুঁকি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারিরীক দূরত্ব মানছেন না কেউ। নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন মানুষজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের পৌর পয়েন্ট, মুক্তিযোদ্ধা মোড়, সবজি বাজার, মাছ বাজার, নৌকাঘাট, ইকড়ছই মাদরাসা পয়েন্ট থেকে ইকড়ছই আবাসিক এলাকার বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এলাকা পর্যন্ত মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লেগে আছে। এসব এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এমন ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও রানীগঞ্জ রোড, জগন্নাথপুর-সিলেট বাসস্ট্যান্ড ও সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের চায়ের স্টলগুলোতে লোকসমাগম লেগে থাকে। এসব স্থানে মানা হচ্ছে শারিরীক দুরত্ব। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি উপেক্ষিত এখানে। 

জানা যায়, সাম্প্রতিককালে লকডাউন সীমিত হলে এ উপজেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও হাট-বাজারগুলোতে অবাধে ঘোরাফেরা শুরু করছেন। গত ঈদের বাজারে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষের ঢল ছিল পৌরশহরে। ঈদের পরই পৌরশহরসহ উপজেলার ১১ জনের করোনা শনাক্ত হন। দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই বললেই চলে। জনসাধারণকে ঘরমুখী করতে এবং শারিরীক দুরত্ব নিশ্চিতকরণে প্রথমদিকে প্রশাসনিক ব্যাপক তৎপরতা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কমে গেছে এ তৎপরতা।

জগন্নাথপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুদন ধর বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে ঝুঁকির মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে দিন-রাত করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করছে। 

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণসহ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

এএ/আরআর-০১