মৌলভীবাজারে গরুর দেহে 'লাম্পি স্কিন' রোগের হানা

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার


জুন ১০, ২০২০
১০:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১০, ২০২০
১০:২৪ অপরাহ্ন



মৌলভীবাজারে গরুর দেহে 'লাম্পি স্কিন' রোগের হানা

মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে লাম্পি স্কিন নামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। এই রোগে কিছু গরু মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় এই রোগ ছড়িয়ে গেছে। বিগত প্রায় ৩/৪ মাস ধরে বিভিন্ন উপজেলায় এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুরো জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১শ ১০টি গরু। এর মধ্যে মৌলভীবাজার সদরে ৫শ ২১টি, রাজনগরে ২শ ২৯টি, কুলাউড়ায় ১ হাজার ৩শ ৫২টি, বড়লেখায় ২ হাজার ১শ ২৬টি, কমলগঞ্জে ২শ ৭৭টি, জুড়ীতে ২শ ৩৭টি, শ্রীমঙ্গলে ১ হাজার ৩শ ৬৮টি হয়েছে। এ রোগে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০টি গরুর। এর মধ্যে কুলাউড়ায় মারা গেছে ১০টি, শ্রীমঙ্গলে ৭টি ও জুড়ীতে ৩টি গরু মারা গেছে।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাওয়ার রুচি কমে যায়। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয়। পা ফুলে যায়। সামনের দুই পায়ের মাঝের স্থানে পানি জমে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি, খোঁড়া, ফোলা হয় এবং লোম উঠে যায়। ধীরে ধীরে এই গুটি শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। পাকস্থলী অথবা মুখের ভেতরে ক্ষত হলে গরু পানি পান করে না এবং খাদ্যগ্রহণ কমে যায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার বলেন, এটি গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এ ভাইরাসটি গতবছর আমাদের দেশে এসেছে। পুরো দেশজুড়ে এ রোগ রয়েছে। তবে মৌলভীবাজারে রোগটি এখনও কম। এ রোগের যেহেতু কোনো ভ্যাকসিন এখনও বের হয়নি, তাই সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ সেরে যায়। তবে মানুষ দেরি করে ফেলে, সেজন্য ভালো হতে সময় লাগে।

তিনি বলেন, এটি ভাইরাসবাহিত রোগ। মশা, মাছি ও আটালির মাধ্যমে এই রোগ ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গরুর কাছ থেকে মশা, মাছি ও আটালি রোগটি বহন করে অন্য গরুর শরীরে বসলে সেই গরুরও একই রোগ হয়ে যায়। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষরা আতঙ্কিত হবেন ভেবে মাইকিং করা হচ্ছে না।

 

এসএইচ/আরআর-০৪