শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ : এক বছরেও হয়নি ফটক নির্মাণ

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ১১, ২০২০
০২:৪৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১১, ২০২০
০২:৪৯ পূর্বাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ : এক বছরেও হয়নি ফটক নির্মাণ

কলেজের ফটকহীন প্রবেশপথ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার একবছরেও হয়নি এর পুনর্নির্মাণ। যার ফলে মেইন রোড থেকে একটু ভেতরে থাকা কলেজটি কারও চোখে পড়ছে না। তবে প্রধান সড়কে নির্মিত গেটের কারণে কলেজটি সবার দৃষ্টিগোচর হতো বলে অনেকে মনে করতেন। কিন্তু পৌরসভার আধুনিকায়নের কারণে ওই গেটটি ভেঙে ফেলা হয়, যা ফের নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেয়র ছালেক।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জয়নাল সরদার বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সাল থেকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলছে কলেজটি। প্রধান সড়ক থেকে কলেজটি সামান্য দূরে হওয়ায় এবং সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন থাকায় কলেজটি তেমন দেখা যায় না। তাই প্রধান সড়কের সামনে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ব্যয়বহুল গেট নির্মাণ করেছিলেন। পরে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার অধীনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এমজিএসপি প্যাকেজের ড্রেনেজ কার্যক্রমের সময় পৌর মেয়র ছালেক মিয়া পুনরায় গেট নির্মাণ করে দেওয়ার শর্তে গেটটি ভেঙে ফেলেন। ড্রেনের কাজ শেষ হয়ে রাস্তা উদ্বোধনও হয়েছে, কিন্তু কলেজের গেটের খবর নেই।

তিনি আরও বলেন, মেয়র মহোদয় শিক্ষার্থীদের মিথ্যা স্বপ্ন না দেখালেই ভালো হয়। নয়তো পড়ালেখা করে বড় হয়ে এরাও মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখাবে। সড়ক লাগবে না। আমাদের গেটটা শুধু করে দেন, যেটা আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভেঙেছেন। রাস্তার পাশে কিছু নেই যে গর্ব করে দেখাব- এটা আমার কলেজ, আমার কলেজের গেট।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়া বলেন, আমাদের পৌরসভার আধুনিকায়নের জন্য রাস্তাটি সম্প্রসারিত করতে হয়। যার ফলে গেটটি ভেঙে ফেলতে হয়। প্রথম সমস্যা হচ্ছে গেটটি যখন প্রথম নির্মাণ করা হয়, তখনই ভুলভাবে রাস্তার জায়গায় নির্মাণ করা হয়। যার ফলে রাস্তা সংস্কারের কারণে গেটটি ভেঙে ফেলতে হয়।

পুনর্নির্মাণ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বলেছি সরকারি সহায়তায় গেটটি পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় কোনো কাজই সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরাদ্দ এলে অবশ্যই গেট নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি দিয়েছে। তারা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি পুনর্নির্মাণ না করলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা।

 

এসডি/আরআর-১৮