হবিগঞ্জে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জুন ১৫, ২০২০
১২:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৫, ২০২০
১২:৫২ পূর্বাহ্ন



হবিগঞ্জে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে হাজারও মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুর অভাবে অসহনীয় এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ নম্বর লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়া গ্রামবাসী।

জানা যায়, লস্করপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চরহামুয়া নগর পাকা সড়ক থেকে দক্ষিণ চরহামুয়ার মরহুম ফজর আলী তালুকদারের মোকাম সংলগ্ন খোয়াই নদীর খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। সেই সঙ্গে নদীর উপর নেই কোনো সেতু। এই রাস্তার পাশ দিয়ে খরস্রোতা নদী খোয়াই প্রবাহিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে খোয়াই নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটিও ডুবে গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষ নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানান, খোয়াই নদীর উপর একটি সেতু খুব জরুরি। এই সেতুর অভাবে চার-পাঁচ গ্রামের মানুষ ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নদী পার হতে পারে না। বর্ষার সময় অনেক বিপদে পড়তে হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষকে। চরহামুয়া, বনগাঁও, নোয়াবাদ, নতুন বাজার, সুঘর, বৈদের বাজার ও কয়দটিয়াদি গ্রামের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। আবার এই রাস্তা দিয়ে মিরপুর, বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। বিগত অনেক বছর ধরে গ্রামবাসীর দাবি ছিল রাস্তাটি পাকাকরণের। কিন্তু তা না হওয়ায় রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার কারণে রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কোনো ধরণের যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। কৃষি নির্ভরশীল এই গ্রামের কৃষকরা পরিবহনের অভাবে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে এমন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। অন্যদিকে বর্ষাকালে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে থাকলে ডেলিভারি বা কোনো রোগীর জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার উপায় নেই। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করে নদীর উপর সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা না হলে অত্র এলাকার জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার ১০ নম্বর লস্করপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান হিরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর সরকারি বরাদ্দে ১ হাজার ৬শ ফুট রাস্তা ইটের সলিং করেছি। নদীর উপর সেতু নির্মাণ করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। আমি এ বিষয়ে অবগত আছি। আমি বেশ কয়েকবার হবিগঞ্জের সাংসদ আবু জাহিরের কাছে গেছি। তিনি এ বিষয়ে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।

হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মিনারুল ইসলাম বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই এলজিইডি'র নতুন স্কিম শুরু হবে। তখন আমরা সদর উপজেলাসহ যেসব রাস্তাঘাট ও কালভার্ট নেই, সেগুলোর নাম তালিকায় দিয়ে দেব। আশা করছি শিগগির মেরামত ও পূণর্নির্মাণ করা হবে।

 

এসডি/আরআর-১০