করোনাকালে শায়েস্তাগঞ্জে প্রশংসিত ব্র্যাকের কার্যক্রম

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ১৭, ২০২০
১২:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৭, ২০২০
১২:৩৫ পূর্বাহ্ন



করোনাকালে শায়েস্তাগঞ্জে প্রশংসিত ব্র্যাকের কার্যক্রম

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ। দেশের অনেক দরিদ্র মানুষ কোনো না কোনো ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে যেখানে অন্যান্য সংস্থাগুলো ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির আদায়ের জন্য গ্রাহককে চাপ প্রয়োগ করছে, সেখানে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী কাজ করে আলোচনায় এসেছে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাস হানা দেয়। ব্র্যাক করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের অফিস খোলা রেখে মাঠকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

ব্র্যাকের স্থানীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত সাধারণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুবিধা বিবেচনা করে কৃষিখাত, মুদি ব্যবসায়ী ও ওষুধ বিক্রেতাদের মাঝে সীমিত আকারে ঋণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে তারা। সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে ব্র্যাকের কোনো কর্মী মাঠে গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় না করে অদ্যাবধি মহামারী করোনাভাইরাস রোধে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক। শায়েস্তাগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ব্র্যাকের কর্মীরা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো তারা প্রচার করে চলেছেন। সরকারের সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য ব্র্যাককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।

ব্র্যাকের সুতাং বাজার শাখার ব্যবস্থাপক (দারিদ্র বিমোচন) মো. মঈনুদ্দিন ভুইয়া বলছি, চেষ্টা করছি এই সংকটে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। আমরা সুতাং অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা ৮৭ জন বিধবা নারীকে জনপ্রতি দেড় হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেছি। এছাড়াও আমরা বেশ কিছু সংখ্যক  সাবান ও পাউডার বিতরণ করেছি।

সংস্থার শায়েস্তাগঞ্জ শাখার এরিয়া ম্যানেজার মো. এয়ারুল হক বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে এখনও কোনো কিস্তি আদায় না করে মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে হাত বাড়ানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু সরকারের পক্ষে একা এই ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই সকলকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

এসডি/আরআর-১১