শায়েস্তাগঞ্জে পড়েছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ২১, ২০২০
০৫:৫৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২১, ২০২০
০৫:৫৭ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে পড়েছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

'তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে'- কবিতার বলা তাল গাছ আকারে বেশ দীর্ঘ হলেও গাছ থেকে ফল পাড়ার জন্য মানুষকে তেমন বেগ পেতে হয় না। সেই তাল আসে বাজারে। ভ্যাপসা গরমে দল বেঁধে মানুষ তালের শাঁস খেয়ে তৃষ্ণা মেটান। এখন বর্ষাকাল চললেও দিনে ও রাতে গরম পড়ছে বেশ। তাই হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম। 

উপজেলার সুতাং বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করছিলেন নবীগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল আলিম মিয়া। তিনি দুই হাজার তাল কিনে এনেছেন প্রায় দশ হাজার টাকা দিয়ে। প্রতিটির দাম পড়েছে ৫ টাকা। তিনি তালের শাঁস বিক্রি করছেন ১০-১২ টাকা দরে। প্রতিদিন ২০০-৩০০ তালের শাঁস তিনি বিক্রি করতে পারেন। তার হাতের নিখুঁত কারিগরিতে ১ মিনিটেই পরিবেশিত তালের শাঁসে মানুষ তৃপ্ত হচ্ছেন।

তিনি জানান, সব সময়ই মৌসুম এলে তালের শাঁস বিক্রি করেন তিনি। অন্য সময় তিনি কৃষিকাজ করে সংসার চালান। ইদানিং কখনও রোদ আবার কখনও মেঘ- এভাবেই চলছে আকাশের লুকোচুরি খেলা। রোদ উঠলেই পড়ছে তীব্র গরম। করোনার জন্য সাধারণ মানুষ এখন কোমল পানীয় পান থেকে অনেকটা বিরত রয়েছেন। এই সময়ে প্রাকৃতিক ফলের উপরই সবার ভরসা।

তালের শাঁস খেতে আসা বকুল রহমান জানান, তালের শাঁস তার খুবই প্রিয়। তাই তিনি শাঁস খেতে এসেছেন।

অমিত পাল নামের আরেকজন জানান, সবার দেখাদেখি তিনিও খেতে এসেছেন। তবে তার পাকা তালের রস দিয়ে সন্দেশ খেতেই বেশি ভাল লাগে।

তাল গাছের ফলের প্রায় সবটুকুই কাজে লাগে। কচি তালে শাঁস হয়, পেকে গেলে তালের রস পাওয়া যায়, আবার তালের পাকা বীজ থেকে নতুন গাছ হয়। গ্রামাঞ্চলে অনেককে তালের বীজ মাটির নিচে রেখে শিকড় গজালে সেটাও কেটে খেতে দেখা যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে তাল গাছের সংখ্যা বেশ কমে গেছে। অনেকেই গাছ কেটে ঘরের কাজে লাগান, আবার অনেকেই জ্বালানীর কাজে ব্যবহার করেন।

 

এসডি/আরআর-০১