এমপিওভুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ০৮, ২০২০
১০:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২০
১০:০৬ অপরাহ্ন



এমপিওভুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা।

আজ বুধবার (৮ জুলাই) হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রভাষক মহিবুর রহমান, শিব্বির আহমদ, নজরুল ইসলাম, তাপস পাল অসিম, খাদিজা আক্তার, আসমা আক্তার হ্যাপি, জনি দাশ, রনি সেন, অনুপ চৌধুরী, রামকৃষ্ণ দাশ, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা গ্রাম অঞ্চলের গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ১৯৯২ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বেসরকারি কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামো/সরকারি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না করা।

তারা বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষকরা বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শুধুমাত্র জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষকরা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশোধনাধীন জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির প্রথম সভায় সকল সদস্য বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বিষয়টি উপেক্ষিত হতে যাচ্ছে। বর্তমান করোনা মহামারির তাণ্ডবে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকগণ জীবন-জীবিকা আজ কঠিন সমীকরণে।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে জনবল কাঠামো সংশোধন করা হলেও আমাদের দাবি সবসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিধি মোতাবেক একজন শিক্ষকের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং নিয়োগ ও মৌখিক পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। শুরুতে কলেজের সংখ্যা গুটিকয়েক হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত তা ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। ২০১৮ সালে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণ করার পর বতর্মানে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদানরত কলেজের সংখ্যা ৩১৫টি। দীর্ঘ ২৮ বছরের বঞ্চনার এই দাবি আদায়ে আমরা বিভিন্ন সময় সভা, সমাবেশ, মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছি। অথচ বাৎসরিক প্রায় ১০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা খরচ করলে সরকার আমাদের এমপিও দিতে পারে।

 

এসডি/আরআর-০৯