বানিয়াচংয়ের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন ইউএনও মাসুদ রানা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৫, ২০২০
০৩:১৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২০
০৩:১৬ পূর্বাহ্ন



বানিয়াচংয়ের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন ইউএনও মাসুদ রানা

কালনী-কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বানিয়াচংয়ের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বানিয়াচংয়ের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতি বৃষ্টির কারনে কুশিয়ারা ও কালনী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ পানি বৃদ্ধির কারনে কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি বিভিন্ন বাধ উপচে বানিয়াচংয়ের হাওরে ঢুকে ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চলের ভূমি প্লাবিত করেছে।

পানিতে ভেসে গেছে রোপা আমনের ক্ষেত,আমনের বীজতলা, মাছের ঘের, গ্রামীন সড়ক ও নীচু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বানিয়াচংয়ের সাথে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ,বানিয়াচং-নবীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের কালারডোবা ব্রীজ সংস্কার কাজ চলার কারনে বিকল্প সড়ক ও সেতুতে পানি উঠে পড়েছে।

চরম ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও মানুষজন চলাচল করছেন।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় সারাদেশ থেকে বানিয়াচং উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বানিয়াচং উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক আমাদের পর্যবেক্ষনে রয়েছে। প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পেলেও পরিস্থিতি এখনও বিপদজনক হয়ে উঠেনি। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রানের ব্যাবস্থাও রয়েছে। সংসদ সদস্য ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ রয়েছে।

এসডি/বিএ-০৩