মৌলভীবাজারে রড দিয়ে প্রতিবন্ধীর পা ভেঙ্গে দিলেন ব্যবসায়ী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


জুলাই ১৫, ২০২০
০৬:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২০
০৬:৩০ অপরাহ্ন



মৌলভীবাজারে রড দিয়ে প্রতিবন্ধীর পা ভেঙ্গে দিলেন ব্যবসায়ী

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় আনোয়ার (৩৫) নামের এক প্রতিবন্ধী লোকের পা ভেঙ্গে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।

গত শনিবার সকালে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এর টালিয়াউরায় এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারকে ২০/ ২৫ বছর পূর্বে স্থানীয় আব্দুল জলিল (মাহাজনের) ছোট ভাই কোনো এক রেলস্টেশনে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই সুবাদে সে তাদের বাড়িতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার খোঁজ খবর তেমন কেউ নেয় না। গত শুক্রবার রাতে আনোয়ার জলিল মাহাজনের বাড়িতে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে চলে আসে। এসে বাড়ির পাশের দোকানের বারান্দায় সে ঘুমিয়ে পড়ে।

এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে জলিল মাহাজনের ছোট ভাই জুড়ী বন্ধু লাইব্রেরির স্বত্তাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস দেখেন তার মুরগী ধরার খারা (জাখা) নেই। তখন খোঁজতে থাকেন আনোয়ারকে। খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে দোকানের সামনে ঘুমাতে দেখেন তাকে। পরে আনোয়ারকে তিনি মারধর করেন। রড দিয়ে আঘাত করলে তার বা পা ভেঙ্গে যায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় আনোয়ারকে এলাকার লোকজন দেখলে তারা এগিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যান আব্দুল কুদ্দুস। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আব্দুল জলিল মাহাজন। তিনি নিয়ে যান মুড়াউলের কবিরাজ বাড়িতে।

জানা যায়, বসতবাড়ির কাজ, গরু চরানো, ঘাস কাটাসহ তার সাধ্যমত বিভিন্ন কাজ করতো। কিছু দিন আগে আনোয়ার মানসিক রোগে ভেঙ্গে পড়ে। আর কারো সাথে তার কথা বার্তাও তেমন হতো না। তাই বাড়ি ছেড়ে গ্রামের দোকানপাট রাস্তাঘাটে ঘুরতে শুরু করে। সে বেশিরভাগ সময় মালিকবাড়ির দোকানের সামনে খড়ঘরে বস্তা মুড়ি দিয়ে রাত্রী যাপন করতো।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত আনোয়ারকে ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আনোয়ারকে মারধর এবং রড দিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, সে দীর্ঘদিন থেকে জলিলের বাড়িতে থাকে। জলিলের ভাই কুদ্দুস কোনো এক বিষয় নিয়ে প্রতিবন্ধী আনোয়ারকে রড দিয়ে মারধর করে পা ভেঙ্গে দেয়।

এ বিষয়ে জুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার সিলেট মিররকে  বলেন,  বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমি সেখানে পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়েছি। একটা মানসিক রোগীকে এভাবে মারধর ঠিক হয়নি। আমি শুনেছি যে লোক তাকে মারছে তার ভাই তাকে দীর্ঘদিন থেকে লালন পালন করে আসছেন। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখবো।

তিনি বলেন, গ্রামের মুরব্বিদের আমি বলেছি তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য।

এসএইচ/বিএ-১২