শায়েস্তাগঞ্জে ডলারের ফাঁদে পড়ে লাখ টাকা খোয়ালেন নারী

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৮, ২০২০
০২:৪৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২০
০৩:৩২ পূর্বাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে ডলারের ফাঁদে পড়ে লাখ টাকা খোয়ালেন নারী

শায়েস্তাগঞ্জে বিদেশি ডলারের ফাঁদে পড়ে এক লাখ ৬৩ হাজার টাকা হারিয়েছেন তানজিলা আক্তার হাসনা নামের এক নারী। তানজিলা আক্তার হাসনা ঢাকা গাজীপুরের বাসিন্দা। তার স্বামী প্রাণ আর এফ এল কোম্পানিতে চাকুরির সুবাধে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ এর অলিপুরে প্রায় ৬ বছর ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। 

জানা যায়, গত ১৪ জুলাই সকাল ১০ টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বিমানবন্দরের কাস্টমস এর অফিসার পরিচয়ে ০১৬০৯-২৫৭৫১৫ নাম্বার থেকে কল দিয়ে বলে, ‌‘আপনার লন্ডন থেকে একটি পার্সেল আসছে, যাতে ৫০ হাজার পাউন্ড রয়েছে, এবং স্বর্ণালংকার, মোবাইল ল্যাপটপ রয়েছে। আপনার মালগুলো হোম ডেলিভারিতে পাঠানো হবে। ঠিক একটু পরেই এলিসন নামের এক আইডি থেকে ওয়াটসপ নাম্বারে আবার কল করে, মানি এক্সপ্রেস এর মাল পাঠানোর রশিদের ছবি ও ইউরোর ছবি পাঠানো হয়, এবং উনি ইংরেজিতে কথা বলেন। এর পরে আবার হামিদুর রহমান শেখ কাস্টমস এর পরিচয়ে বলেন, ‘আপনার কার্গোতে নগদ পাউন্ড থাকায় বিমানবন্দরে স্কান করে এইগুলা ধরা পড়েসে, সেজন্য এক লক্ষ তেষট্টি হাজার টাকা ফাইন পাঠাতে হবে, নাহলে মালগুলো বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। তখন  হামিদুর রহমান শেখ ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি কারেন্ট একাউন্ট যার নাম্বার-৭০১-৭১০-০২১৬৩৫৮, মেসার্স হামিদুল এন্টারপ্রাইজ একটি একাউন্ট নাম্বার দেন। 

সেই একাউন্টে তানজিলা আক্তার হাসনা ১৪ জুলাই ও ১৫ জুলাই তিনবারে মোট এক লক্ষ তেষট্টি হাজার টাকা পাঠান। টাকা পাঠানোর পরে কাস্টমস এর লোক রশিদগুলোর ছবি ও ওয়াটসপ এ নেয়। তারপরে বলে আপনি মালগুলো পেয়ে যাবেন। ঠিক ঘন্টা খানেক পরে হামিদুল আবার কল করে আরো সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চান, যে মালগুলো এয়ারপোর্টের এক নাম্বার গেইট এ পার হয়ে এবার দুই নাম্বার গেইটে আটক হয়েছে। এবার হাসনা আক্তারের মনে সন্দেহ হলে তিনি ব্যাংকে যোগাযোগ করেন, পরে বুঝতে পারেন উনার সঙ্গে কোন ক্রাইম হচ্ছে। তারপর হাসনা বেগম ওই একাউন্ট এর তথ্য সংগ্রহ করে দেখেন হামিদুল এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকানা ঢাকার কেরানিগঞ্জ। পরে হাসনা বেগম হামিদুলকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে হামিদুল জানান এপ্লিকেশন করা হয়েছে আপনার মাল না নিলে টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন, তারপর তার মোবাইল নাম্বার এ আর কল করা যাচ্ছে না। কোন উপায় না পেয়ে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

এ বিষয় এ শায়েস্তাগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি  আল মামুন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। মানুষের অসতর্কতার জন্য এমন ঘটনা ঘটছে। তিনি এসব প্রতারক চক্রের হাত থেকে বাচার জন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

এসডি/বিএ-০৩